For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

প্রশ্নের মুখে আদালতবান্ধবের রিপোর্ট, নজরে সংশোধানাগারে ১৯৬টি শিশুর জন্ম

রাজ্যের নানা মহিলা সংশোধানাগারে ১ বছরের মধ্যে ১৯৬টি শিশুর জন্মের রিপোর্ট এখন প্রশ্নের মুখে। দাবির সত্যতা নিয়েই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
10:36 AM Feb 13, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
প্রশ্নের মুখে আদালতবান্ধবের রিপোর্ট  নজরে সংশোধানাগারে ১৯৬টি শিশুর জন্ম
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: যে রিপোর্ট ঘিরে তাজ্য তথা জাতীয় স্তরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল, এবার সেই রিপোর্ট নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। কার্যত সরাসরি অভিযোগ উঠে এসেছে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে আদালতে। এর পিছনে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক অভিসন্ধি কাজ করছে। কেননা রিপোর্টে তুলে ধরা তথ্যের সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ দাখিল করা হয়নি। নজরে রাজ্যের নানা মহিলা সংশোধানাগারে ১ বছরের মধ্যে ১৯৬টি শিশুর জন্মের রিপোর্ট যা এক আদালতবান্ধব(Observer Appointed by Court) কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) দাখিল করেছেন এবং মহামান্য হাইকোর্ট সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চে ফৌজদারী মামলা হিসাবে তা শুনানির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

‘আদালতবান্ধব’ হিসাবে নিযুক্ত আইনজীবী তাপস ভঞ্জ সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট দাখিল করেছেন যে ১ বছরের মধ্যে রাজ্যের নানা মহিলা সংশোধানাগারে(Women Correction Home) ১৯৮টি শিশুর জন্ম হয়েছে। সেই রিপোর্টের জেরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল যে, সংশোধনাগারে থাকা মহিলারা কী পুরুষ কারারক্ষীদের হাতে ধর্ষণ বা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে? নাকি সংশোধানাগারের অন্দরে মহিলা বন্দীদের পরিচিত পুরুষদের অবাধ যাতায়াত ও মেলামেশার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে? কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম সেই রিপোর্ট দেখে হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চে ফৌজদারী মামলা হিসাবে তা শুনানির জন্য পাঠান। শুধু তাই নয়, সেই রিপোর্ট সামনে আসায় তড়িঘড়ি করে দিল্লি থেকে বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের। গতকাল অর্থাৎ সোমবার তাঁরা দমদম ও আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন ও সেখানে থাকা মহিলা বন্দীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এই দুই সংশোধানাগারে তাঁরা এমন কিছু পাননি যা আদালতবান্ধবের রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার জাতীয় মহিলা কমিশনের(National Woman Commission) সদস্য ডেলিনা খোংদুপ ও শালিনী সিংহ দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মহিলা বন্দিদের ব্লক এবং আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন। কারা দফতর সূত্রের খবর, তাঁদের সামনে বেশ কয়েক জন মহিলা বন্দি অভিযোগ করেন, ওই রিপোর্টের জেরে তাঁদের সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রশ্নের মুখে সন্তানের ‘পিতৃত্ব’। জেল থেকে বেরোনোর পরে তাঁরা সমাজে ফিরে গিয়ে কী ভাবে মুখ দেখাবেন? মহিলা সংশোধনাগারে পুরুষদের প্রবেশাধিকার নেই। আদালতবান্ধবের রিপোর্টের সারাংশ প্রকাশ্যে আসার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কী ভাবে জেলের অন্দরে বন্দিনীরা অন্তঃসত্ত্বা হলেন? যদিও কারা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের ওই বন্দিরা জানিয়েছেন, জেলে আসার পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। জেলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও তাঁরা শোনেননি। ওই রিপোর্ট তৈরির আগে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি বলেও দাবি বন্দিনীদের। কমিশনের সদস্যেরা তাঁদের বক্তব্য শুনেছেন, কিন্তু কোনও মন্তব্য করেননি। সংশোধানাগারের আধিকারিকদের সঙ্গেও কমিশনের সদস্যেরা কথা বলেন। সংশোধনাগারে জন্ম নেওয়া শিশুদের সম্পর্কে তথ্যও সংগ্রহ করেন তাঁরা। পরিদর্শনের সময়ে কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন দফতরের স্পেশ্যাল আইজি অজয় ঠাকুর, ডিআইজি(দমদম) গৌতম মণ্ডল এবং ডিআইজি(প্রেসিডেন্সি) দেবাশিস চক্রবর্তী।

রাজ্যের কারা দফতরের(Department of Correctional Administration) দাবি, গত এক বছরে সংশোধনাগারে মাত্র ১১টি শিশুর জন্ম হয়েছে। সংশোধনাগারে আসার আগেই ওই মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। কোভিডকালে এক মহিলা বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ১ বছর ২ মাস পরে তিনি সংশোধনাগারে ফেরেন। মুক্ত থাকাকালীন তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। এ ছাড়া, অনেক মহিলা বন্দি সংশোধনাগারে এসেছেন তাঁদের সন্তানদের নিয়ে। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরা তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন। রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন। সংশোধনাগারে আসার পরে মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন, এমন কোনও রিপোর্ট তাঁদের তরফেও দেওয়া হয়নি।অয়ার এখানেই প্রশ্ন উঠছে, আদালতবান্ধব কিসের ভিত্তিতে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করলেন যে ১ বছরে রাজ্যের নানা মহিলা সংশোধানাগারে ১৯৬টি শিশুর জন্ম হয়েছে? বিনা প্রমাণ ছাড়া কীভাবে তিনি আদালতকে এই রিপোর্ট দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারলেন? এটা তো সরাসরি আদালতের সঙ্গে প্রতারণা এবং আদালত অবমাননার সামিল, অভিমত কলকাতা হাইকোর্টেরই আইনজীবীদের একাংশের।

Advertisement
Tags :
Advertisement