মাত্র ১২ বছর বয়সেই গ্র্যাজুয়েট হয়ে ইতিহাস গড়ল সূবর্ণ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাধারণত মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক তারপর গ্র্যাজুয়েশন! সিস্টেমেটিকভাবে চলছে গোটা এডুকেশন লাইফ। যদিও বিভিন্ন দেশে বিভিন্নরকম সিস্টেম। আর সবকটা ডিগ্রির জন্যেই নির্দিষ্ট বয়স নির্ধারিত। যদিও অনেকেই নির্দিষ্ট বয়সে গ্র্যাজুয়েশন করেন না। সেক্ষেত্রে বেশি বয়সেও এই ডিগ্রি অর্জন করা যায়। কিন্তু তা বলে মাত্র ১২ বছর বয়সে স্নাতক অর্জন করা সম্ভব! এই বয়সে সাধারণত পরিণতও হয়না শিক্ষার্থীরা। তা বলে মাত্র ১২ বছর বয়সে গ্র্যাজুয়েশন! হ্যাঁ, সম্প্রতি এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখাল একটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত বালক। উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে ইতিহাস গড়ল সূবর্ণ বারি। সঙ্গে লং আইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ স্নাতকধারি হিসেবে স্বীকৃতিও পেল সুবর্ণ বারি।
না চমক এখানেই শেষ নয়! মাত্র ১২ বছর বয়সে দুটি বইও লিখেছে সে। সঙ্গে ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাও দিয়েছে সে। ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভার এই বালকটি বর্তমানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পরে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে (NYU) গণিত এবং পদার্থবিদ্যা পড়তে যাবে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট অনুসারে, সুবর্ণ বারি আগামী সপ্তাহে লং আইল্যান্ড হাই স্কুল থেকে স্নাতক হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ছাত্র হবেন। সূবর্ণ বারি, পড়াশোনায় সে এতটাই তুখোড় যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী থেকে সোজাসুজি অষ্টম শ্রেণীতে এবং তারপর নবম শ্রেণি থেকে সোজাসুজি ১২ শ্রেণীতে প্রমোশন পেয়ে গিয়েছিল। এরপর সে মালভার্ন হাই স্কুল থেকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করে সর্বকনিষ্ঠ ছাত্র হিসেবে ইতিহাস গড়ে। সূত্রের খবর, এরপর সে সম্পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেবেন এবং পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত অধ্যয়ন করবেন। এই বয়সেই সে দুর্দান্ত ভিজ্যুয়ালাইজেশন, মজাদার গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, সবটাতেই তুখোড়। লিনব্রুকের সুবর্ণ বারি দুটি বই লিখেছেন এবং একটি ভারতীয় ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতাও করেছেন। আগামী ২৬ জুন মালভার্ন হাই স্কুল থেকে সে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট গ্রহণ করবে। শুধু তাই নয়, সুবর্ণ মাত্র ১১ বছর বয়সে SAT-এ ১৫০০ স্কোর করেছিল।
সুবর্ণর রসায়ন শিক্ষক জানিয়েছেন, "আমাদের এই হলগুলিতে কিছু স্মার্ট শিক্ষার্থী রয়েছে। আছে। কিছু বাচ্চাকে প্রিন্সটন এবং হার্ভার্ডে পাঠিয়েছি। আমরা কিছু হেভি হিটারকে কিছু দুর্দান্ত স্কুলে পাঠিয়েছি। তবে তার মধ্যে সুবর্ণ ব্যতিক্রম। আমি চাই সে এবার সারা বিশ্বের মানুষকে গণিত এবং বিজ্ঞান বুঝতে সাহায্য করুক।" ইতিমধ্যে সুবর্ণ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান পাঠ দিচ্ছে। সূবর্ণ তার চতুর্থ জন্মদিনে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও পেয়েছেন। সূবর্ন মাত্র সাত বছর বয়সে 'দ্য লাভ' শিরোনামে একটি বই লিখেছিলেন যেখানে তিনি সন্ত্রাসবাদহীন একটি বিশ্ব কল্পনা করেছিলেন এবং মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা পড়ান।তিনি তার "সমস্যা সমাধান" দক্ষতার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশংসাও পেয়েছেন এবং নিউ ইয়র্ক সিটির প্রতিভাধর এবং প্রতিভাধর প্রোগ্রামের একটি অংশ। তিনি স্টনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেছেন।