ইজরায়েলি বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দাবি ইরাকের ইসলামি গোষ্ঠীর
নিজস্ব প্রতিনিধি: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গতবছর ৭ অক্টোবর থেকে চলছে গাজা-ইজরায়েল বিধ্বংসী যুদ্ধ। প্রায় ৭ মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। যাতে এখনও পর্যন্ত বলি হয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার ২৩২ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে ৮৫ হাজার ৩৭ জন। বাস্তু চ্যুত হয়েছেন গাজার ১৭ লাখেরও বেশি বাসিন্দা। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রধান শিকার হচ্ছেন নারী ও শিশুরা। কারণ ইতিমধ্যেই গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু। একদিকে গাজা থেকে পলাতক ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন বাইডেন প্রশাসন। অন্যদিকে গাজায় বিধ্বংসী যুদ্ধ চালানোর দায়ে ইজরায়েলের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কলম্বিয়া। এছাড়া দিন কয়েক ধরেই মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ শহর রাফাতে বোমা ফেলে ক্রমশ হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। যাতে কিনা এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন শতাধিক মানুষ। ইজরায়েলিদের প্রতিশোধ নেওয়ার এই ভয়াবহ রূপ দেখে রীতিমতো গোটা বিশ্ব। ইজরায়েলের উপর পাল্টা আক্রমণ করল ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ গোষ্ঠী।
শুক্রবার (১৪ জুন) ইজরায়েলের রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দাবি করেছে ইরান সমর্থিত ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। এই হামলার বিষয়ে কোও তথ্য দিতে পারেনি ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোমফ্রন্ট কমান্ড। আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে ইজরায়েলের দখলকৃত রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
একটি বিবৃতিতে ইসলামি প্রতিরোধ গোষ্ঠী জানিয়েছে, গাজায় যে পরিমাণে নগণ্য হত্যা চালিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক হত্যার প্রতিক্রিয়া জানাতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ইহুদিবাদী অবস্থানগুলিকে টার্গেট করা হয়েছে। এদিকে মাস কয়েক গাজায় 'পারমাণবিক বোমা' ফেলার আহ্বান জানিয়ে ইজরায়েলকে উস্কে দিলেন মার্কিন সাংসদ। একটি সাক্ষাৎকারে ইজরায়েলের কট্টর সমর্থক মার্কিন সিনেটর গ্রাহাম জানিয়েছিলেন, প্রথমে তাঁরা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা ফেলে যুদ্ধ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই ইজরায়েলকে বোমা (পারমাণবিক) দেওয়া উচিত যাতে তারা এই যুদ্ধ শেষ করতে পারে। তারা কিছুতেই হারবে না। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর থেকে গাজায় ইজরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের পর থেকেই দখলদারদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী।