দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটিতে হামলা ইজরায়েলের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। গত কয়েক ঘণ্টায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইজরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তাঁরা জিবকিন এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া খাইয়াম এবং হুলা এলাকার বেশ কিছু স্থাপনা এবং আল ওডেইসাহ এলাকায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার কথাও জানিয়েছে ইজরায়েল।
সদ্যই ওয়াংশিটন সফরে গিয়ে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছিলেন যে, ইজরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না, তবে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।যদি যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে তাঁরা(ইজরায়েলি সেনাবাহিনী)লেবাননকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইজরায়েল ৪০০ টিরও বেশি হিজবুল্লাহ ‘সন্ত্রাসী’ শেষ করেছে।
উল্লেখ্য,সম্প্রতি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইজরায়েল।এরই মধ্যে লেবাননে হামলা চালানোর অনুমোদনও বৈধতা দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী(আইডিএফ)। কিন্তু এর বিরুদ্ধে ইজরায়েলকে বারবার সতর্ক করেছে তাদের দুই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। সতর্ক করেছে তুরস্কও।
এই বিষয় নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস জানিয়েছেন, যুদ্ধের পরিধি ও তীব্রতা বাড়লে তার ফল হবে মারাত্মক।
অন্যদিকে লেবানন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের লেবানন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছেষ বিশেষ করে ইজরায়েল ও হিজবুল্লাহর যুদ্ধের আবহে। পাশাপাশি নিজেদের নাগরিকদের লেবানন থেকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস।
পাল্টাপাল্টি হুমকিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ-বাতাস। এই পরিস্থিতিতে লেবানন-ইসরাইল যদি সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি কি হবে এই নিয়ে চিন্তিত বিশ্লেষকরা।