গাজায় ফের শরণার্থী শিবিরে ইজারায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ২৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই হামলায় নিহত হয়েছে ২৭ জন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। সরকারি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুহারা লোকজন। নিশানা করে তাঁদের ওপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।
এই ভয়াবহ হামলা নিয়ে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাঁরা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি এবং তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
যদিও পাল্টা ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রধান জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় হামলা থামানো হবে না।
গাজার অপর নাম এখন মৃত্যুপুরী। ইজরায়েলের নারকীয় হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশু ও নারীরাও। প্রায় আট মাস ধরে টানা দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। থামার কোন লক্ষণই নেই। কোন কিছুই তোয়াক্কা না করেই টানা ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। এদিকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, যদি হামলা অব্যাহত থাকে তবে গাজায় খাদ্য সংকট আরও তীব্র হবে। সেখানকার ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই তীব্র অনাহারের মধ্যে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য জাতিসংঘের মতে, ইজরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, জল এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
গাজায় একের পর এক টানা ইজরায়েলের অবিরাম হামলার সাত মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এই হামলা আর কতদিন চলবে এই প্রশ্নের উত্তরই কি যুদ্ধবিরতি ? আর এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত কি হতে চলেছে তা সময়ই বলবে। গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইজরায়েলি সেনাদের আগ্রাসন বন্ধ করা ও প্রত্যাহারের পরিবর্তে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বর্তমানে গাজা নারী পুরুষ এবং শিশুদের কঙ্কালে পরিণত হয়েছে।