তিস্তা নদীতে জল বাড়ছে, মেখলিগঞ্জ সীমান্তে হলুদ সতর্কতা জারি
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সোমবার সকাল থেকে কালো মেঘে অন্ধকারে হয়ে রয়েছে। জেলা জুড়েই বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। NH - 31 জলঢাকা নদীতে সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত এলাকায় জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। মেখলিগঞ্জ(Mekhliganj Border) বাংলাদেশে বর্ডার সংলগ্ন এলাকা হলুদ সতর্কতা জারি বলে জলপাইগুড়ি সেচ দফতর সূত্রে সোমবার সকালে জানা যায়। তিস্তার জলপাইগুড়ি গজলডোবার ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান অনেকটাই কম রয়েছে। সোমবার সকাল ৬ টায় ৬৬৪.৭৭ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তবে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের চিন্তা বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গে(North Bengal) ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সোমবারও ফুঁসছে তিস্তা। একটানা বৃষ্টিতে খুব অসুবিধার মধ্যে রয়েছে সেখানকার মানুষজন। লোকজন কাজেও যেতে পারছে না। একটানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর জল বাড়ায় তিস্তা নদী পাড়ের বাসিন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। জলের কারণে ভুট্টা, বাদাম সহ কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ। এখনো বহু জায়গায় নদী বাঁধের মেরামত করা দরকার বলে বাসিন্দারা জানান। চিন্তায় ঘুম উঠেছে জলপাইগুড়ি তিস্তা নদী সংলগ্ন বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা উত্তম মজুমদারদের। তবে জেলা প্রশাসন সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে,রাতভোর বৃষ্টি চলছে কোচবিহারে(Coochbehar)। টানা বৃষ্টির জেরে ফুলে ফেঁপে উঠছে কোচবিহারের সমস্ত নদীগুলো। কোচবিহার শহর লাগোয়া তোর্সা নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। শুধু তোর্সা নয়, তুফানগঞ্জ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালজানি, রায়ডাক, ঘরঘড়িয়া সহ সমস্ত নদীর জল বাড়ছে। নদীর জল বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি কোচবিহারে বিভিন্ন এলাকায়। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন।