For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

NCRB’র রিপোর্টে কলকাতা নিরাপদতম শহর, বিজেপিকে নিশানা মহুয়ার

NCRB’র রিপোর্টকে হাতিয়ার করে গেরুয়া ব্রিগেডকে নিশানা বানালেন মহুয়া। কেননা কেন্দ্রের এই সংস্থার রিপোর্ট বলছে কলকাতাই দেশের নিরাপদতম শহর।
12:57 PM Dec 05, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
ncrb’র রিপোর্টে কলকাতা নিরাপদতম শহর  বিজেপিকে নিশানা মহুয়ার
Courtesy - Google and Facebook
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: গেরুয়া শিবির উঠে পড়ে লেগেছে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করতে। কেননা তাঁর কন্ঠস্বরকেই ভয় পাচ্ছে মোদি ব্রিগেড। যুক্তিতক্কো, পরিসংখ্যান, তথ্যাদি কোনও কিছুতেই তাঁর সঙ্গে লোকসভায় পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছেন না বিজেপির সাংসদরা। তাই তাঁকে সংসদ থেকেই তাড়াবার ফন্দি এঁটেছে পদ্মশিবির। তিনি কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই নিশান বানাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরকে। এই যেমন এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে তিনি সংক্ষিপ্ত ট্যুইটেই তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) বাহিনীকে। কী লিখলেন? লিখেছেন, ‘NCRB-র ক্রাইম রিপোর্ট ২০২২(Crime Report 2022) বলছে, অপরাধমূলক ঘটনা কমের নিরিখে কলকাতা(Kolkata)  গোটা দেশের(India) মধ্যে সবথেকে সুরক্ষিত শহর(Most Safest City) টানা তিন বছরের জন্য। আমাদের সকলকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। হয়তো এবার বিষয়টি নিয়ে বিজেপি(BJP) এবং তাদের ট্রোল বাহিনী জানতে পারবে এবং চুপ করবে।’ বলুন তো কে তিনি? আমাদের বাংলারই এক মেয়ে। কৃষ্ণনগরের(Krishnanagar Constituency) তৃণমূল সাংসদ(TMC MP)। মহুয়া মৈত্র(Mahua Moitra)। 

Advertisement

National Crime Records Bureau বা NCRB’র রিপোর্টে ২০২১ সালে দেশে প্রধান শহরগুলির মধ্যে সব থেকে নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল আমাদের রাজ্যের রাজধানী কলকাতা। ২০২২ সালের জন্যও সেই তকমা ধরে রাখল মহানগর। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ বা ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধি মাফিক অপরাধের সংখ্যা কমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহর। ২০২১ সালে যেখানে ১৩,০৬৭টি অপরাধের অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছিল এই শহরে, সেখানে এ বার সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১১,০৩৮টি। দিল্লির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯৮৮টি। মুম্বইয়ে ৬৯,২৮৯টি এবং বেঙ্গালুরুতে ২৮,৬৬৬টি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। দেশের মধ্যে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় অপরাধের গড় হার সব থেকে কম যে শহরে, তা এই কলকাতাই। মাত্র ৭৮.২ শতাংশ। জনসংখ্যার নিরিখে ছোট শহর অমদাবাদ, পুণে, কোয়ম্বত্তূর, সুরাতও অপরাধের হারে এগিয়ে।    

Advertisement

রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার জনসংখ্যা ১৪.১১ কোটি। সেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১১,০৩৮টি। অর্থাৎ, প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যায় কলকাতায় অপরাধ হয়েছে ৭৮.২টি। কোয়ম্বত্তূরে সব থেকে কম অপরাধের ঘটনা (৪৫৪২টি) নথিবদ্ধ হলেও, ওই শহরের জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে ২১ লক্ষ। অর্থাৎ, প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় অপরাধ কলকাতার প্রায় ৩ গুণ। তবে চার্জশিট পেশের হারে কলকাতার (৮৮.১) থেকে এগিয়ে কোচি (৯৫.৯) ও কোঝিকোড় (৮৯.৪)। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষ এবং স্থানীয় আইনে অপরাধের সংখ্যাও কলকাতায় তুলনায় কম। ২০২২ সালে কলকাতায় খুন হয়েছেন ৩৪ জন। যা অন্য শহরের তুলনায় কম। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ২১৭ জনের। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশ, তা-ও অন্য শহরগুলির থেকে কম। ভ্রূণ বা শিশুহত্যার মতো অপরাধ কলকাতায় নথিভুক্ত হয়নি। দিল্লি, মুম্বইয়ে এমন ঘটনা যথাক্রমে ৩২টি এবং ১৮টি। তবে মেয়েদের উপরে হামলার ঘটনা চেন্নাই, আমদাবাদের থেকে কলকাতায় বেশি। আবার দিল্লি, মুম্বইয়ের তুলনায় কম। অপহরণের মতো অপরাধও দিল্লি, মুম্বইয়ের তুলনায় কলকাতায় নগণ্য। এই রিপোর্টটিকে সামনে রেখে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

Advertisement
Tags :
Advertisement