OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা কৃষ্ণ কল্যাণীর, উপনির্বাচনের সম্ভাবনা রায়গঞ্জে

কৃষ্ণ কল্যাণীর ইস্তফার সূত্রে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ঘন্টা বেজে গেল।
02:49 PM Mar 27, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। ছোটখাটো শিল্পপতি বললেও ভুল হবে না। সেই তিনি একুশের ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর শহর রায়গঞ্জ(Raiganj) থেকে। একুশের সেই ভোটে জেলার ৯টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে তৃণমূল(TMC) জয়ী হলেও রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির(BJP) প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন তিনি। সেই জয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি জার্সি বদলে চলে আসেন তৃণমূলে। বাংলার শাসক দল তাঁকে রাজ্য বিধানসভার Public Accounts Committee বা PAC’ চেয়ারম্যানও করে দেয়। তা নিয়ে মামলাও হয়। এবার তৃণমূল তাঁকে ২৪'র ভোটে(Loksabha Election 2024) প্রার্থী করেছে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে। আর তার পরে পরেই এদিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ তিনি ইস্তফা দিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক পদ(MLA Post) থেকে। তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীতও হয়েছে। নজরে কৃষ্ণ কল্যাণী(Krishna Kalyani)। তাঁর এই ইস্তফার সূত্রে একদিকে যেমন Public Accounts Committee বা PAC’র চেয়ারম্যানের পদ আবারও ফাঁকা হয়ে গেল তেমনি, রায়গঞ্জেও উপনির্বাচনের ঘন্টা বেজে গেল।

জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্য বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। একই সঙ্গে তিনি Public Accounts Committee বা PAC’র চেয়ারম্যানের পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফা দিয়ে অধ্যক্ষের ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে কৃষ্ণ কল্যাণী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর ইস্তফা প্রসঙ্গে জানান, ‘রায়গঞ্জের মানুষের সাড়া পাচ্ছি। আশা করি, অনেক ভোটে জিতব। আমি আগামী ২ তারিখ তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেব। তার আগে সব পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। আমি সাধারণ মানুষের কাছে এক জন সাধারণ মানুষ হিসাবেই ভোট চাইতে চাই।’ একই সঙ্গে এদিন কৃষ্ণ জানিয়েছেন, বিজেপিতে থাকাকালীন তিনি রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং তাঁর অনুগামীদের চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘বিজেপির একটা অংশ আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। দেবশ্রীও তাঁদের মধ্যে ছিলেন। সেটা পরে প্রমাণিতও হয়েছে। ওরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করেছিলেন। তাই উনি এ বার ওখানে ভোটেও দাঁড়াননি।’ তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, কৃষ্ণ কল্যাণীর ইস্তফা বিজেপির কাছে ধাক্কা। কেননা কৃষ্ণ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে এলেও, তিনি খাতায় কলমে বিজেপিরই বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু তাঁর ইস্তফা দেওয়ায় এদিন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা থেকে আরও একটা সংখ্যা ঝরে গেল।

এখন দেখার বিষয় রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে কবে উপনির্বাচন হয়। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই রয়েছে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট ২৬ এপ্রিল। রায়গঞ্জ সহ দেশের যে সব লোকসভা কেন্দ্রে আগামী ২৬ এপ্রিল ভোট রয়েছে সেই সব কেন্দ্রে আগামিকাল অর্থাৎ ২৮ মার্চ থেকে মনোনয়ন দাখিলের পর্ব শুরু হচ্ছে। মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৪ এপ্রিল। তাই এই কম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সম্ভবত রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না, বা একই দিনে রায়গঞ্জে লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভার উপনির্বাচনের তারিখ ফেলবেন না। সেক্ষেত্রে ৪জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পরে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কবে কোন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। কেননা বাংলার ক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় তরফেই অনেক বিধায়কই এবার প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যারা জিতবেন তাঁদের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। তখন ওই সব কেন্দ্রের সঙ্গে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন করাতে পারে কমিশন। একই সঙ্গে দেখার বিষয়, শাসক দল এবার Public Accounts Committee বা PAC’র চেয়ারম্যান কাকে করে।

Tags :
BJPkrishna kalyaniLoksabha Election 2024MLA PostPublic Accounts Committee.raiganjTmc
Next Article