ফল যাই হোক না কেন, বন্ধ চা বাগান খুলবে, আশায় বুক বাঁধছেন শ্রমিকরা
নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) আলিপুরদুয়ার জেলায়(Alipurduyar District) এই মুহূর্তে বন্ধ ৭টি চা-বাগান(Tea Garden)। এর মধ্যে ৪টি মাদারিহাট ব্লকে এবং ৩টি কালচিনি ব্লকে। মাদারিহাট ব্লকের ঢেকলাপাড়া, লঙ্কাপাড়া, দলমোড়, রামঝোরা এবং কালচিনি ব্লকে কালচিনি, দলসিংপাড়া ও রায়মাটাং চা বাগান বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এদের মধ্যে লঙ্কাপাড়া চা বাগান দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বন্ধ। বাকি ৬টি চা বাগানের মধ্যে কোনওটি ৭ ও কোনওটি ৬ মাস ধরে বন্ধ। গত বছরের দুর্গাপুজোর বকেয়া বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়েছে এই সব বাগান। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে প্রতিটি বন্ধ বাগানের শ্রমিকরা রাজ্য সরকারের দেওয়া মাসিক ১৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন। তবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে টাকা পেলেও শ্রমিকরা চাইছেন বাগান খুলুক। তাঁদের আশা, ভোটে তৃণমূল(TMC) বা বিজেপি যেই জিতুক না কেন, ফল যাই হোক না কেন, বন্ধ চা বাগান খুলবে। কার্যত এই আশায় বুক বাঁধছেন বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা।
অন্যদিকে, বন্ধ চা বাগান খুলতে ভোটের ফল বেরনোর পর তারা রাজ্য মন্ত্রিসভার দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠন। যে সমস্ত চা বাগান এখন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে সেই সব বাগানের মালিকরা রাজ্য শ্রম দফতরের ডাকা বৈঠকে আসছেন না। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রিসভার কাছে আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠন। ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যের শ্রম দফতর এই সব বাগান খুলতে একাধিকবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছিল। কিন্তু কয়েকটি বাগানের মালিকপক্ষ কোনওবারই বৈঠকে যোগ দেয়নি। যে সমস্ত বাগান মালিক বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছেন, কেবলমাত্র তাঁদের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাতে চলেছে। এই বিষয়ে তৃণমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার জানিয়েছেন, ‘ভোটের ফল যাই হোক না কেন, আমরা বাগান খুলতে বদ্ধপরিকর। ফল বেরনোর পর নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে যাবে। তারপর আমরা বন্ধ বাগান খুলতে মন্ত্রিসভার দ্বারস্থ হব। বারবার বৈঠক ডাকার পরও যেসব বাগান কর্তৃপক্ষ বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না, সেসব বাগান মালিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আর্জি জানাব।’