OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

সুপ্রিম রায়ে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত এলাকাই, পদ্মের নজরে উত্তরবঙ্গ

উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য করা হবে, এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৪’র ভোটে উত্তরের ৮টি লোকসভাকেন্দ্রই কব্জা করার ফন্দি এঁটেছে পদ্মশিবির।
03:57 PM Dec 11, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম রায়ে(Supreme Court of India) অস্বস্তি বাড়ল বাংলার(West Bengal)। জম্মু-কাশ্মীরের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল অসাংবিধানিক নয় বলেই এদিন অর্থাৎ সোমবার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, লাদাখ(Ladakh) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই(Union Territory) থাকবে। এই প্রসঙ্গে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও রাজ্যের একটি নির্দিষ্ট অংশকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা যায়। সেটা করতে পারে কেন্দ্র সরকার। আর তা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩-এ বর্ণিত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে হাতিয়ার করেই এবার ফের আরও একবার বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র শুরু করতে চলেছে পদ্মশিবির। অন্তত বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP) সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। তবে দলগত ভাবে তা তোলা হবে না। বরঞ্চ উত্তরবঙ্গ(North Bengal) থেকে নির্বাচিত বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদদের দিয়ে সেই দাবি তোলানো হবে বিচ্ছিন্ন ভাবে বা সমবেতভাবে। একই সঙ্গে এই ইস্যুকে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও প্রচারের হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য করা হবে, এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৪’র ভোটে(General Election 2024) উত্তরের ৮টি লোকসভাকেন্দ্রই কব্জা করার ফন্দি এঁটেছে পদ্মশিবির।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে উত্তরবঙ্গ থেকে জয়ী একাধিক বিজেপি বিধায়ক এবং উনিশের ভোটে জেতা উত্তরবঙ্গের একাধিক বিজেপি সাংসদ বার বার বাংলা ভাগের দাবি তুলেছেন বিচ্ছিন্নভাবে। কেউ কামতাপুর গঠনের দাবি তুলেছেন, কেউ গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবি তুলেছেন, আবার কেউ পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য গঠনের দাবিও তুলেছেন। একটা সময় তো বিজেপি বলতেই শুরু করে দিয়েছিল, উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য করা হবে দিল্লির ধাঁচে। অর্থাৎ কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হলেও উত্তরবঙ্গের পৃথক বিধানসভা থাকবে, পৃথক সরকার থাকবে। ঠিক যেমনটি দিল্লির ক্ষেত্রে রয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট লাদাখ নিয়ে যে রায় দিয়েছে, এবার সেই রায়কে হাতিয়ার করেই বাংলা ভাগের দাবিতে গেরুয়া ব্রিগেডকে মাঠে নামাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্মশিবির।   

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৪ অগস্ট পর্যন্ত লাদাখ জম্মু-কাশ্মীরের অংশ ছিল। কিন্তু ৫ অগস্ট সংবিধানে সংরক্ষিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করে দেয় কেন্দ্র। পাশাপাশি, ওই রাজ্য পুনর্গঠনের বিলও আনে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। সন্ত্রাসবাদ দমন ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভেঙে পৃথক দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। সেই সময়ে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘লাদাখ এত দিন জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে থাকলেও, সেখানকার ভূপ্রকৃতি ও জনসংখ্যার চরিত্র আলাদা। সেখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত এলাকা ঘোষণার।’ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর কাশ্মীর থেকে আলাদা হতে পেরে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছিল লাদাখে। বিশেষ মর্যাদা বিলোপ নিয়ে কাশ্মীর উপত্যকা যখন উত্তাল, তখন সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি দেখা গিয়েছিল লেহ্-র রাস্তায়। কিন্তু তার দু’বছর পেরোতে না পেরোতেই ‘মোহভঙ্গ’ হয় লাদাখের! আলাদা রাজ্যের মর্যাদা পেতে সেখানে সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েক বার বিক্ষোভও হয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে লাদাখের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, লাদাখের সাংসদ এবং লাদাখের স্বশাসিত পরিষদের প্রতিনিধিরা। কিন্তু এই পরিষদের নেতারা কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হননি। তাঁদের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের ঠকিয়েছে। লাদাখ যত দিন জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ ছিল, তত দিন তাঁরাও ভাল ছিলেন। স্বতন্ত্র রাজ্য কিংবা সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলে পরিষদের নেতারা জানিয়ে দেন, দাবি পূরণ না হলে আলোচনা বৃথা। এতে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল মোদীর সরকারকে। পরবর্তী কালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হন লাদাখের নেতারা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, উন্নয়নের নামে গণতন্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র! কিন্তু আপাতত কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত। দেখার বিষয় উত্তরবঙ্গের ভাগ্যে কী আছে? যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) একাধিকবার জানিয়েছেন, প্রাণ থাকতে তিনি বাংলা ভাগ হতে দেবেন না। বাংলার অগ্নিকন্যার এই চ্যালেঞ্জের মুখ পড়ে উত্তরবঙ্গ নিয়ে বিজেপি কী করে তা এখন দেখার বিষয় হয়েও থাকবে।

Tags :
Bengal BjpGeneral Election 2024LadakhMamata BanerjeeNarendra modinorth bengalSupreme Court of IndiaUNION TERRITORYwest bengal
Next Article