OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

৫ বছরে কৃষকবন্ধুর আওতায় লক্ষাধিক কৃষক, খরচ হয়েছে ২,১৪০ কোটি টাকা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে গত ৫ বছরে বাংলার ১ লক্ষ ৭ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যের খরচ হয়েছে ২,১৪০ কোটি টাকা।
09:57 AM Feb 29, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধীরা যতই ‘শিল্প শিল্প’ বলে চেঁচাক না কেন, বাস্তবে এখনও বাংলা তথা দেশের অর্থনীতির মূল ধারক হয়ে রয়েছে কৃষি ব্যবস্থাই। রাজ্য পরিবর্তনের আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এই সার সত্যটি বুঝেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে। বামফ্রন্ট সরকার আর বাম নেতারা এই সারসত্যটি থেকে যেমন মুখ ঘুরিয়ে বসে ছিলেন তেমনি জমির সঙ্গে কৃষকের আত্মিক সম্পর্কের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে চাননি তাঁরা। তারই নির্যাস ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে মমতার মহাকরণ দখল। ২০১১ সালের সেই পরিবর্তনের পর থেকেই মমতা বাংলার কৃষকদের আয় বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন। সেই সূত্রেই তাঁর হাত ধরে এসেছে কৃষকবন্ধু প্রকল্প(Krishak Bandhu) যা ২০১৯ সালে চালু হয়। তথ্য বলছে গত ৫ বছরে সেই কৃষকবন্ধু প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন বাংলার(Bengal) ১ লক্ষ ৭ হাজার কৃষক(Farmers)। আর এই পর্যন্ত এই প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের খরচ হয়েছে ২,১৪০ কোটি টাকা(2140 Crore Rupees)।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকেরা বছরে দুই দফায় মোট নূন্যতম ৪ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করে পান। যাদের ১ একরের কম জমি রয়েছে তাঁরা পান ৪ হাজার টাকা করে এবং যাদের ১ একরের বেশি জমি রয়েছে তাঁরা পান ১০ হাজার টাকা করে। একইসঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কৃষকের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে তাঁর পরিবার পায় ২ লক্ষ টাকার এককালীন আর্থিক সুবিধা। আবার এই প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকেরা যেমন সরকারকে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারেন তেমনি মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা অপর একটি প্রকল্প ‘বাংলা শস্য বিমা যোজনা’র সুবিধাও পান। কার্যত গোটা দেশে এখন ‘কৃষকবন্ধু’ ও ‘বাংলা শস্য বিমা যোজনা’ দুই প্রকল্পই কার্যত রোল মডেল হয়ে উঠেছে। এবার সেই কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত ৪ হাজার মৃত কৃষকের পরিবারকে এককালীন ৮০ কোটি টাকা দিল রাজ্য সরকার। ফেব্রুয়ারিতেই এই অর্থ সরাসরি মৃত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। পাশাপাশি এ বছর এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মোট ৬৮০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্যের কৃষি দফতর থেকে জানানো হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হয়েছেন বাংলার ৩৪ হাজার কৃষক পরিবার। এর বাইরেও প্রায় ১ কোটি সাড়ে ৩ লক্ষ বর্গাদার উপকৃত হচ্ছেন।  

রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বুধবার টাকা রিলিজ় করার পাশাপাশি কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকাও ছেড়েছে রাজ্য কৃষি দফতর। কৃষকবন্ধুর ডেথ বেনিফিট স্কিমেই বুধবার ৪ হাজার মৃত কৃষকের পরিবার সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কিছুদিন আগে রাজ্য বিধানসভায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের কৃষি বাজেট পেশ করার সময় রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলেই বাংলার কৃষকদের আয় বেড়েছে ৩ গুণ। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য এবার রাজ্যের কৃষি দফতরের জন্য শোভনদেববাবু ৯ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা্র বাজেট পেশ করেছিলেন সেইদিন। সেই সময়ে তিনি এটাও জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা কমেছে। তাঁদের আয় বেড়েছে তিনগুণ। কৃষকবন্ধু প্রকল্প, শস্য সুরক্ষা, কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োগ সহ বিভিন্নভাবে কৃষকদের সহায়তা করে চলেছে রাজ্য সরকার।

Tags :
2140 Crore Rupees.bengalFarmersKrishak BandhuMamata Banerjee
Next Article