লিলুয়ার ভট্টনগর ভেড়ি থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য এলাকায়
নিজস্ব প্রতিনিধি,হাওড়া: হাওড়া জেলার লিলুয়ার ভট্টনগর ভেড়িতে জলাশয় থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়। জানা গেছে, হাওড়ার লিলুয়া থানার(Lilua P.S.) অন্তর্গত ভট্টনগর ঘুঘু পাড়ার আম বাগানের বাসিন্দা একটি ১৪ বছরের স্কুল ছাত্র নাম রোহিত মাইতি(Rohit Maity)। ভট্টনগর কূলকমীণি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রোহিত।সে বৃহস্পতিবার কবে বিকেল বেলা তার বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয়। গভীর রাত হয়ে গেল সে বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকেরা তার ওই বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করতে থাকে। বন্ধুদের থেকে বাড়ির লোক জানতে পারে বন্ধুরা বলে ও ওখানে খেলছিল তার আগে চলে এসেছে তারা কিছু জানেনা।তার বেশ কিছুক্ষণ পর ওই অঞ্চলে খোঁজাখুঁজি করেও ওই রোহিতের কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। তারপর তারা গভীর রাতে আসে লিলুয়া থানায় মিসিং ডায়েরি করতে। এরপরে গভীর রাতে মিসিং ডায়েরি করার পর তৎক্ষণাৎ লিলুয়া থানার পুলিশ প্রশাসন পুলিশ বাহিনী নিয়ে এবং বাড়ির লোককে সঙ্গে নিয়ে সারারাত ধরে খোঁজ চালাতে থাকে রোহিতের। কোন রকম খোঁজ পাওয়া যায়নি রোহিতের সারা রাতে ।তারপর পুলিশ প্রশাসন থানাতে ও রোহিতের বাড়ির লোক বাড়ি ফিরে যায়।
কিন্তু আজ ১৪ জুন সকালে ওই ভেড়ি অঞ্চলে সাধারণ মানুষরা প্রাত: ভ্রমণ করতে যায় মুক্ত বাতাস নেওয়ার জন্য তখন ওই ভ্রমণকারীরা ভেড়ির একটি জলাশয় একটি ছেলের দেহ ভাসতে দেখে ।তখন তারা খবর দেয় লিলুয়া থানায় ।তৎক্ষণাৎ লিলুয়া থানা থেকে পুলিশ প্রশাসন পৌঁছে যায় ভেড়িতে এবং দেহ উদ্ধার করে রোহিতের। পুলিশের তরফ থেকে বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয় । তারা এসে দেহ শনাক্ত করে।এই দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে।কিন্তু রোহিতের বাড়ির লোক এবং এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য রোহিতের শরীরে আঘাতে চিহ্ন আছে এবং সে সাঁতার জানতো না । তাকে অন্যত্র মেরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে রোহিতের বাড়ির লোক।এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হলে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় বিষয়টি তদন্ত- সাপেক্ষ। ময়নাতদন্তের জন্যদেহ পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের পরেই সঠিক বিষয়টি জানা যাবে বলে মনে করছে লিলুয়া থানা প্রশাসন মহল। এদিকে, শিশু মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা বাঁকড়ায়(Bakra)।
ভাংচুর একটি বেসরকারি নার্সিংহোম(Nurshing Home)। জলে ডুবে মৃত্যু এক ১২ বছরের শিশু। জানা যায়, ১২ বছরের ওই শিশু জলে ডোবার পর শিশুটিকে উদ্ধার করে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ওই শিশুকে বাড়িতে নিয়ে গেলে হঠাৎই মুখ থেকে জল বেরিয়ে নড়ে উঠে শিশুর দেহ। এরপর শিশুর পরিবার সহ স্থানীয় মানুষ ফের নিয়ে যায় নার্সিংহোমে। ফের চিকিৎসক জানান কিশোরের মৃত্যু হয়েছে ।তখনই উত্তেজিত হয়ে ওঠে কিশোরের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। উত্তেজিত জনতা নার্সিংহোম ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডোমজুড় থানার(Domjur P.S.) পুলিশ।