For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী’, দাবি ব্রাত্যের

বংশের গরিমা ও কলঙ্ক সম্পর্কে জেনে বললে ভাল হবে - কৃষ্ণনগরের রানি-মা তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে উদ্দেশ্য করে ব্রাত্য বসুর মন্তব্য।
02:33 PM Mar 29, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী’  দাবি ব্রাত্যের
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর লোকসভা(Krishnanagar Constituency) কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী(BJP Candidate) হয়েছেন কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির বউ অমৃতা রায়(Amrita Roy)। কিন্তু শুরু থেকেই তাঁকে ঘিরে বিতর্ক ক্রমশই বেড়ে চলেছে। একদিকে যেমন বিজেপিরই আদি কর্মী থেকে নেতারা অমৃতার সমর্থনে প্রচারে নামছেন না, তেমনি অমৃতাও সংবাদমাধ্যমের সামনে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই যেমন তিনি সাম্প্রতিককালে একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিরাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করলে সনাতন ধর্ম শেষ হয়ে যেত। ব্রিটিশদের যদি কৃষ্ণচন্দ্র সহায়তা না করতেন তাহলে ভারতীয়দের পোশাক-সংস্কৃতি সব আলাদা হত। এখানে যে সিরাজের কথা বলা হচ্ছে তিনি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দদৌল্লা। সেই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ঘটনার পরে এবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী(State Education Minister) ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) পাল্টা নিশানা বানালেন অমৃতা রায়কে। শুধু তাই নয়, কৃষ্ণনগরে ‘রানি মা’-কে রীতিমত এদিন তিনি ইতিহাসের পাঠও পড়িয়ে দিলেন।

Advertisement

কী বলেছেন ব্রাত্য? রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘একটা বিষয় সকলের জেনে রাখা উচিত। কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্ব একদিকে মুর্শিদাবাদ ও অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছিল। আলিবর্দি খাঁ-র বসার ক্ষেত্রেও তিনি সাহায্য করেছিলেন। এরপর বর্গীরা বাংলা আক্রমণ করল সেই সময় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ট্যাক্স দিতে পারেননি। আলিবর্দি খাঁ তাঁকে বন্দি করেও মুক্তি দেন। কৃষ্ণচন্দ্র সাহায্য না করলেও ব্রিটিশরা আসত। উপনিবেশ হতই। তবে অমৃতা রায় কী বলেছেন জানি না। পলাশির যুদ্ধের সময় সিরাজকে সরাতে সেই সময় মিরজাফরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র। রাতের অন্ধকারে মিটিং হয়েছিল। সেই সময় কৃষ্ণচন্দ্রই বলেছিলেন এখানে হিন্দু-মুসলিম দিয়ে শাসন হবে না। ইংরেজদের এনে বসানো উচিত। শুধু তাই নয়, নিয়ে এলেন তোলাবাজ ক্লাইভকে। উনি সবাইকে শোষণ করা শুরু করেন। কৃষ্ণচন্দ্রের অবস্থা এতটাও সচ্ছ্বল ছিল না যে টাকা দেবেন। ক্লাইভ কৃষ্ণচন্দ্রকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। আলিবর্দি খাঁ কৃষ্ণচন্দ্রকে ক্ষমা করলেও ক্লাইভ ক্ষমা করেননি। এটাই সত্যিকারের ইতিহাস।’

Advertisement

পাশাপাশি ব্রাত্য আরও  বলেছেন, ‘অমৃতা রায় রাজপরিবারের মেয়ে হতেই পারেন। ওনার কথা শুনে মেকলের কথা মনে পড়েছে। উনি বাঙালিদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাঙালিদের ইংরেজি শেখাতে হবে। আমরা যদি এদের ইংরেজি শেখাই দু’ধরনের লোক তৈরি হবে। একদল ইংরেজি জানবে, অন্যদল জানবে না।  আর যাঁরা জানবে না তাঁদের ঘৃণা করবেন ইংরেজি জানারা। অর্থাৎ একসময় ইংরেজরা চলে যাবে। কিন্তু উপনিবেশ রয়ে যাবে। আর অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী ছিল। ফলে বংশের গরিমা ও কলঙ্ক সম্পর্কে জেনে বললে ভাল হবে।’ এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে কৃষ্ণনগরের ‘রানি-মা’ ব্রাত্য বসুর বক্তব্য থেকে কিছু শিক্ষা নেন নাকি বিতর্কিত সব মন্তব্য করে চলেন।

Advertisement
Tags :
Advertisement