'রোজা' আমাকে পরিচয় দিয়েছিল, কিন্তু মণি স্যারকে কোনও কৃতিত্ব দিইনি: মধু
নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের ৯০ দশকের অনেক তারকা এখন গায়েব। কেউ বিয়ে করে সংসার পেতেছেন, আবার কেউ পরলোকে পা রেখেছেন। যাই হোক, নব্বই দশকের বলিউডের একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী হলেন মধু। মণিরত্নমের বিখ্যাত ছবি রোজা-তে অভিনয় করে রাতারাতি লাইমলাইটে ওঠেন মধু(MADHU)। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির খ্যাতি আজও সিনেপ্রেমীদের চোখে তাজা। কিন্তু জানেন কী, এই ছবির সাফল্যের জন্যে কখনই মধু মণিরত্নমকে ক্রেডিট দেননি মণিরত্নম। যার জন্যে তিনি এখনও অনুতপ্ত। মণিরত্নম দক্ষিণী এবং বলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিরই জনপ্রিয় পরিচালক। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মধু।
পাশাপাশি এও জানিয়েছেন যে, তাঁর কেরিয়ার নষ্ট হওয়ার জন্যে দায়ী এই বিষয়টিও। অভিনয় থেকে বহু বছর দূরে ছিলেন মধু, যদিও এখন কামব্যাক করেছেন বলিউডে। সম্প্রতি মণি রত্নমের সঙ্গে তাঁর ভাঙা বন্ধন সম্পর্কে মধু বলেন, 'অহংকার মনোভাব'-এর কারণে, তিনি শিল্পে নির্দিষ্ট বন্ধন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর সবথেকে বড় অপরাধ ছিল যে, তিনি রোজার সাফল্যেল জন্যে মণি রত্নমকে কখনও ক্রেডিট দেননি। কিন্তু এখন তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি কতটা ভুল করেছেন। সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে, মধুকে রোজা এবং ইরুভারের পরে মণি রত্নমের ছবিতে অভিনয় না করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।
তখন মধু বলেন, “মণি স্যার হয়তো বিভিন্ন শিল্পীর সঙ্গে বন্ধন করতে চাইতেন এবং আমি অনেকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। আমি মেসেজ পাঠালাম। আমি তাকে খুব পছন্দ করতাম। কিন্তু তখন আমি কাউকে আমার গডফাদার মনে করিনি। আমি মণি স্যারকে আমার উপকার করার জন্যে কখনও ধন্যবাদ জানাইনি। আমি ভাবতাম ‘মণি স্যার আমার মধ্যে তাঁর রোজা খুঁজে পেয়েছিলেন। তাই এর মধ্যে বিশেষ কী আছে?' এটি ছিল আমার মনোভাব।"
ছবিটির পরে তিনি অহংকারী হয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এটি বেদনার জায়গা থেকে এসেছে। ছবিতে মেকআপ থেকে শুরু করে পোশাক পর্যন্ত সবকিছুই আমার পছন্দের ছিল। তাই আমি কাউকে কৃতিত্ব দিতে চাইনি। আমার এই মনোভাবে লোকেরা বিরক্ত হয়েছিল। মণি স্যার কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য। আমার তখন তাকে বলা উচিত ছিল। এখনও আমি তাকে সব ক্রেডিট দিই। তিনি আমাকে একটি পরিচয় দিয়েছেন।" কাজের ফ্রন্টে, মধুকে সম্প্রতি সামান্থা রুথ প্রভু অভিনীত শকুন্তলম-এ মেনকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল।