১২ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে
নিজস্ব প্রতিনিধি, সল্টলেক: মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর ফের দ্বিতীয় দিনেও ইংরেজি প্রশ্ন ফাঁস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবছর ১২ জন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়(Ramanuj Gangopadhay)। শনিবার সল্টলেকের নিবেদিতা ভবনে(Nibadita Bhavan) সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান ,সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেই একটি চক্র এই পরীক্ষাগুলিকে কালিমালিপ্ত করতেই চক্রান্ত করেছে। পাশাপাশি পর্ষদ সূত্রের খবর, এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং সেন্টারের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছিল প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে।
শুক্রবার ১৪টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্তর পর শনিবার ১৬ টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মালদার এনায়েতপুর হাই স্কুলের ৭ জন পরীক্ষার্থী, গয়েশ্বরী বিদ্যাভবন পেয়ারি নিকেতনের চারজন, জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি(Mainaguri) আমগুড়ি রামমোহন হাই স্কুলের একজন সহ মোট ১২ জনের এ বছরে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও বর্ধমান রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে কাটোয়া কাশীরাম দাস স্কুল এর একজন পরীক্ষার্থী দক্ষিণ দিনাজপুরের বন্যা রাজকিশোরী হাই স্কুলের চারজন, মালদা পাঁচকরিতলা হাই স্কুলেরএক জন পরীক্ষার্থীর শনিবারের জন্য পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
১৮ টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র যাতে পাশ না হয় তার জন্য পর্ষদ আগে থেকেই কিউ আর কোডের(QR Code) মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছিল । তারপরেও প্রথম দুদিনই এই ধরনের ঘটনা সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে বোর্ডকে কালিমালিপ্ত করতে এডুকেশন খারাপ হয়ে গেছে এই চক্রান্ত করতেই এটা করা হচ্ছে বলে মনে করছে পর্ষদ ।কিন্তু যেই করুক কোনভাবেই মার্জনা করা হবে না। সূত্রের খবর, গয়েশ্বরী ভবন বিদ্যানিকেতন কিছুদিন আগেই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২৪ জনকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ফাইন দিয়ে এডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছিল এমনটাই শনিবার জানায় পর্ষদ।