‘মহুয়া মানুষের ভোটে আবারও জিতবে’, আত্মবিশ্বাসী মমতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি আগেও জানিয়েছিলেন, এদিন আবারও জানিয়ে দিলেন। দুই দিনের ঘোষণাতেই আত্মবিশ্বাসের সুর। কেননা তিনি মানুষের মধ্য থেকে আন্দোলন করে উঠে আসা নেত্রী। মানুষের না বলা কথাটিও বুঝে যান অক্লেশে। জনসংযোগে তাঁর থেকে বেশি ভাল নেতানেত্রী নেই ভারতবর্ষে। সেই সূত্রেই তিনি এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নদিয়া(Nadia) জেলার শান্তিপুর(Shantipur) থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ‘মহুয়াকে(Mohua Moitra) ওঁরা তাড়িয়ে দিয়েছে, কেন? কারণ, মহুয়া মানুষের কথা বলত। তোমরা জোর করে তাড়িয়ে দিতে পারো, কিন্তু মানুষের ভোটে মহুয়া জিতবেই। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ ফের ওঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনবে।’ নজরে মহুয়া মৈত্র ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
নদিয়া জেলায় রয়েছে ২টি লোকসভা কেন্দ্র। কৃষ্ণনগর(Krishnanagar Constituency) ও রানাঘাট। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দুটি কেন্দ্রই তৃণমূলের(TMC) দখলে গিয়েছিল। কিন্তু উনিশের লোকসভা ভোটে রানাঘাট গিয়েছে বিজেপির দখলে। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটিতে তৃণমূল জয়ী হলেও সেখানকার সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রথমে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হন এবং পরে তাঁর সাংসদ পদও খারিজ করে দেওয়া হয়। দিল্লিতে তাঁর বাংলোও খালি করে দিতে হয়। কিন্তু মহুয়াকে নিয়ে দলের অবস্থানের যে কোনও পরিবর্তন হয়নি, সেটা এদিন ফের বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ২৪’র ভোটে যে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন মহুয়া মৈত্রই সেটা এদিন শুধু স্পষ্ট করে দিলেনই না মমতা, এমনকি মানুষের ভোট নিয়ে মহুয়া ‘জিতবেই’ সেই ভবিষ্যদ্বাণীও করে দিলেন।
লোকসভা থেকে মহুয়াকে সাসপেন্ড করার পরেও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দলনেত্রী। লোকসভায় ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ তুলে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংসদের এথিক্স কমিটি। গত ডিসেম্বর মাসে তাঁকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। যদিও, তাঁর বহিষ্কারের পরেও দল যে তাঁর পাশে আছে তা জানিয়ে এই বহিষ্কারের ঘটনার পেছনে আদতে বিজেপির ষড়যন্ত্র আছে বলে দাবি করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। মমতা এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেই অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরঞ্চ তিনি এদিন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম না করে তাঁকে বিঁধেছেন। জেলার জনতার কাছে আবেদন রেখে জানিয়েছেন, ‘রানাঘাট থেকে একজনকে আপনারা জিতিয়েছিলেন। মা - বোনেরা জানান, তিনি কী করে বেড়াচ্ছেন? কোনও কাজকর্ম নেই। এবার কিন্তু, রানাঘাটেও আমাদের সমর্থন দেবেন। দয়া করে এটা মনে রাখবেন।’