OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

‘আমার দেখা সেরা মুখ্যমন্ত্রী’, দিদি বললেন, ‘একদিন মিষ্টি খাইয়ো’

তোমার আবদার আমি রাখছি দেব। তোমার কথা শুনে আমি কিন্তু করে দিলাম। এর জন্য একদিন মিষ্টি খাইয়ো - ভরা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর আবদার।
03:07 PM Feb 12, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: একজন অবশ্যই রূপালী পর্দার নায়ক। সেই সঙ্গে সাংসদও। অপরজন দেশের অন্যতম সেরা রাজনীতিবিদ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁদেরই কেমিস্ট্রি জমে গেল আরামবাগের মাটিতে নুনশোতে। নজরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা টলি স্টার দেব(Deb)। এদিন এই তারকা সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সঙ্গী হয়েছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেবকে অনুরোধ করেন তাঁর সফরসঙ্গী হতে। সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি দেব। তারপরেই হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে একই হেলিকপ্টারে করে দুইজনে চলে আসেন আরামবাগে। সেখানেই একই মঞ্চে দাদা-দিদির কেমিস্ট্রির চাক্ষুষ করলেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। 

এদিনের সভায় দেব জানান, ‘অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায় এবং দিদি, এমন একটি প্রস্তাব দেন ঘাটালের মানুষের জন্য, ঘাটালের গত ৬০ থেকে ৭০ বছরের স্বপ্ন, মনে হল, এটার জন্য আমি সারা জীবন রাজনীতি করতে চাই। ঘাটালবাসীর ৭০ বছরের স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলেছে রাজ্য সরকার, দিদির হাত ধরে। আশা করি, পরের টার্মে মাস্টার প্ল্যানটা(Ghatal Master Plan) হয়ে যাবে। কেন্দ্র যদি করে তো ভালো, নাহলে দেখা যাক। এটা মানুষের কাজ, করতেই হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমি গত ১০ বছর ধরে বলছি। কিন্তু কেন্দ্র তা নিয়ে কিছু করেনি। এখন আমি আমাদের নেত্রী, মমতা ব্যানার্জির কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমি ঘাটালে থাকি বা না থাকি, মাস্টার প্ল্যানটা যেন হয়, তা দেখবেন। ২০২৪ সালে আমি জিতব, কি জিতব না, জানি না। তবে দিদির কাছে অনুরোধ, কেন্দ্রের ভরসায় না থেকে রাজ্য সরকারই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করুক। স্বাধীনতার আগে থেকে এটা ঘাটালের মানুষের স্বপ্ন। চাইব, দিদি সেই স্বপ্ন পূরণ করুন। দিদির হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলাম। দিদির হাত ধরেই থেকে গেলাম। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী দিদি।’

এরপরে বক্তব্য রাখতে উঠে মমতা বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা দেব আমাকে বলেছে। আমি যদি না বলি দেব আমার সঙ্গে ঝগড়া করবে। আমি ইতিমধ্যেই আলোচনা করে নিয়েছি, আমার মুখ্যসচিব এবং আমাদের সেচ দফতরের সচিবের সঙ্গে। আগেও কপালেশ্বর কেলেঘাই আমরা মেদিনীপুরে করে দিয়েছি। ফলে মেদিনীপুরের অনেক মানুষ বন্যা কবলিত হওয়ার হাত থেকে বেঁচেছেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরা তৈরি করছি, ১৭ লাখ মানষ উপকৃত হবেন। কবে কোকিল ডাকবে, তবে বসন্তকাল আসবে, তা চিন্তা না করে, আমি নির্দেশ দিচ্ছি, এটা যাতে পরিকল্পনা তৈরি করে যাতে আমার ৩-৪ বছরের মধ্যে তৈরি করে ফেলতে পারি। দেব যখন আমার কাছে আবদার করেছে, দিদিভাই তো আর ভাইকে তো ফেরাতে পারে না। তাই তোমার আবদার আমি রাখছি দেব। তোমার কথা শুনে আমি কিন্তু করে দিলাম। এর জন্য একদিন মিষ্টি খাইয়ো না, এখানে সূর্য মোদকের খুব বিখ্যাত। অনেকেই এখান থেকে নিয়ে যায়। তবে আমি তো মিষ্টি খাই না। দেব আমার ভাইয়ের মতন। ওর কথা ফেলি কী করে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শেষ করতে আরও ১২৫০ কোটি টাকা লাগবে। সেটা আমরাই দিয়ে দেব। ৩-৪ বছর সময় লাগবে কাজটা শেষ করতে। দেব Champion of Ghatal Master Plan।’

Tags :
DebGhatal Master PlanMamata Banerjee
Next Article