‘বিষদাঁত আমি ভেঙে দেব, কী নোটিস পাঠাতে হয় আমি দেখিয়ে দেব’, পাট্টার আশ্বাস মমতার
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) বুকে পূর্ব বাংলার হিন্দু বাসিন্দাদের সংখ্যা কিছু কম নয়। বিশেষ করে উত্তর ও মধ্য কলকাতা অপেক্ষা দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঙালদের বসবাস চোখে পড়ে। যাদবপুর(Jadavpur) ও টালিগঞ্জ(Tollygunge) এলাকায় কার্যত তাঁরাই সংখ্যাগুরু এবং দুই বিধানসভা কেন্দ্রেরই ফলাফল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক হয়ে ওঠেন। সেই দুই বিধানসভা কেন্দ্রই রয়েছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। ঘটনাচক্রে সেই দুই বিধানসভা এলাকায় থাকা বেশ কিছু কলোনির বাসিন্দাদের একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে যে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে দুইতলা বা তিনতলা বা চারতলা করতে পারবেন না। কাউকে কাউকে নোটিস পাঠানো হয়েছে যে তাঁরা পাকা বাড়ি করতে পারবেন না। সেই নোটিস আবার পাঠানো হয়েছে কলকাতা পুরনিগমের(KMC) নামে যা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। শুধু তাই নয়, কলকাতার মেয়র রাজ্যেরই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই নোটিস ঘিরে যাদবপুর ও টালিগঞ্জে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তেই এদিন বিকালে যাদবপুরের বারো ভূতের মাঠে দলের নির্বাচনী জনসভা থেকে মুখ খুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আশ্বাস দিলেন তিনি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সব কলোনির বাসিন্দাদের।
এদিন যাদবপুরের বারো ভূতের মাঠে ছিল তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভা। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে এদিন বারো ভূতের মাঠে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই মমতা বলেন, ‘অনেককেই কেউ একটা নোটিস পাঠিয়েছে। আমি শুনলাম। তাতে নাকি কাউকে কাউকে বলা হয়েছে যে তাঁরা তাঁদের বাড়ি তিনতলা-চারতলা করতে পারবে না। কাউকে কাউকে বলেছে পাকা বাড়ি করতে পারবে না। পরিষ্কার শুনে রাখুন, সিপিএমের কেউ একটা বসে আছে, সেই এসব করেছে কলকাতা পুরনিগম থেকে। ফিরহাদের এক্তিয়ারে এটা পড়ে না। এটা রাজ্য সরকারের বিষয়। জমির পাট্টা রাজ্য সরকার দেয়, কলকাতা পুরসভা নয়। যে এটা পাঠিয়েছে সে কত বড় ক্ষমতাধর আমি দেখে নেব। বিষদাঁত আমি ভেঙে দেব। সে কী নোটিস পাঠিয়েছে, নোটিস পাঠাবো তপো এবার আমি, নোটিস পাঠানো কাকে বলে সেটা দেখিয়ে দেব। আমি সবাইকে জানিয়ে যাচ্ছি, কেউ কিছু ভয় পাবেন না। কলোনি এলাকায় আমরা পাট্টা দিচ্ছি বসত জমির। যাদবপুর, টালিগঞ্জের যত কলোনি আছে তার সব পাট্টা দেওয়া হবে। কেউ আপনাদের তুলতে পারবে না। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। ওদের এত বড় সাহস যে ববিকে কিছু না জানিয়ে, আমাকে কিছু না জানিয়ে নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি এই নোটিস কিয়ে কিছু জানতাম না। এখানে এসে আমি জানতে পারলেন।’