For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

বিজেপিকে নিশানা বানিয়ে দলকেও বার্তা মমতার

‘তৃণমূল কংগ্রেস করে মানুষকে বঞ্চিত করা যাবে না। মানুষ ছুড়ে ফেলে দিলে কেউ তাকিয়েই দেখবে না, আমি বড় না ও বড়।’ বার্তা মমতার।
05:17 PM Feb 27, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
বিজেপিকে নিশানা বানিয়ে দলকেও বার্তা মমতার
Courtesy - Facebook
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়ার(Purulia) মাটিতে দাঁড়িয়ে শুধু দিল্লি বা গেরুয়া শিবিরকেই মঙ্গলবার নিশানা বানালেন না তৃণমূল সুপ্রিমো, দলের নেতাকর্মীদেরও কড়া বার্তা দিয়ে দিলেন।  জানিয়ে দিলেন, ‘আমি প্রত্যেককে বলব, একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবে। মনে রাখবেন আমরা সবাই ছোট, মানুষ বড়। তাঁরাই এখানে নিয়ে এসেছেন। মানুষ যেদিন ছুড়ে ফেলে দেবে সেদিন কেউ তাকিয়েও দেখবে না। কেউ পুছেও দেখবে না আমি বড় না ও বড়। আমি চিরকাল এই কথা বিশ্বাস করি। এই কথা বিশ্বাস করলে আমার সঙ্গে থাকুন। নয়ত অন্য দল করুন। আমার আপত্তি নেই। তৃণমূল(TMC) করলে মানুষকে বঞ্চনা করা যাবে না। মনে রাখবেন আমরা সবাই ছোট। মানুষ কিন্তু বড়। এই কথাটা বিশ্বাস না করলে নিজের ঘরে যান, বিজেপি করুন, কংগ্রেস করুন, সিপিএম করুন। আমার কোনও আপত্তি নেই। তৃণমূল কংগ্রেস করে মানুষকে বঞ্চিত করা যাবে না। আমার সঙ্গে যাঁরা দল করছেন, তাঁরা এই কথাটা মনে রাখবেন। মানুষ ছুড়ে ফেলে দিলে কেউ তাকিয়েই দেখবে না, আমি বড় না ও বড়।’

Advertisement

পুরুলিয়ায় এদিন ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সভা। সেই সভা থেকেই তিনি নিশানা বানিয়েছেন গেরুয়া ব্রিগেডকে। পদ্ম শিবিরকে নিশানা বানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোজ আগুন লাগায়। দাঙ্গা লাগায়। তারপর বলে কে করল। কোথাও গন্ডগোল হয় না। শুধু বিজেপির(BJP) পঞ্চায়েতে গন্ডগোল হয় কারণ কী? তার কারণ ওরা লুটে খায়। আর মানুষকে ধরে ঠেঙায়। কিছু লোক আছে কোনও কাজ না করে মিথ্যে কথা বলে। আমি মিথ্যা কথা ঘৃণা করি। ইলেকশনের আগে বলেছিলাম বিনামূল্যে রেশন পাবেন। তাই দিয়েছি। আগের বার এখান থেকে বিজেপি জিতে গেছিল। আবার ভোটের পর এসে টাকা দেবে, গন্ধা গন্ধা বাত করবে। শীত গ্ৰীষ্ম বর্ষা আমরাই ভরসা। ভোটের সময় এসে বলে উজালা গ্যাস দেব। ভোটের পর উজালা পাওয়া যায় না। সব ধর্মের, সব সম্প্রদায়ের মানুষ কে ভালবাসি। ভোটের সময় ভাগাভাগি করি না। বিজেপি বিজ্ঞাপন করে বলছে ঘরে ঘরে জল পৌঁছাচ্ছে, এটা ভুল। ঘরে ঘরে জল পৌঁছতে ৭৫ শতাংশ খরচ করতে হয় রাজ্য সরকারকে। ভোটের আগে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। ওরা এবারেও ভয় দেখাবে, টাকা দিতে চাইবে। সেই ফাঁদে পা দেবেন না।’

Advertisement

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন জেলার আদিবাসী সমাজকেও। জানিয়েছেন, ‘আদিবাসী(Tribal) বন্ধুদের বলব নিশ্চিন্তে থাকুন। আপনাদের জমি কেউ কেড়ে নেবে না। আমরা আইন করে বলেছি আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না। জঙ্গল আপনাদের হাতে থাকবে। যারা কেন্দু পাতা তুলতে যায় তাঁদের টাকাও বাড়ানো হয়েছে। আমি আদিবাসী ও মাহাতোদের মধ্যে ঝগড়া লাগাতে চাই না। আপনাদের যা যা আছে সব করে দেব। মাহাতোরা চাইছেন তাঁদের ট্রাইবাল হিসাবে ঘোষণা করা হোক। এটা আমাদের হাতে নেই। আমায় দোষ দেবেন না। তবে আমরা শুরু করেছি কাজ। কারা-কারা মাহাতো সেটা সার্ভে করছি। আর কিছু অফিসার আছে দিয়েই দিচ্ছে। অভিযোগ থাকলে জানাবেন। আদিবাসী আর মাহাতো ভাইবোনরা আপনাদের যা প্রয়োজন দিয়ে দেব। কিন্তু দয়া করে ভোট এলে এদের মধ্যে ঝগড়া লাগাবেন না। অনেক মাহাতো আদিবাসী আছেন।  আদিবাসী-বাউড়ি-বাগদী-কুড়মালি বোর্ড থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।’

Advertisement
Tags :
Advertisement