For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘কে হরিদাস? সাহস থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেখান’, চ্যালেঞ্জ মমতার

কোচবিহারের এক বিজেপি নেত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে এবার ইসলামপুরের সভা থেকে মুখ খুললেন মমতা।
03:01 PM Apr 18, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘কে হরিদাস  সাহস থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেখান’  চ্যালেঞ্জ মমতার
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) কোচবিহার জেলার দিনহাটার সংহতি ময়দানে সেখানকার বিজেপি(BJP) প্রার্থী নিশীথ প্রমাণিকের সমর্থনে বিজেপির একটি সভা ছিল। সেখানেই বিজেপির মহিলা নেত্রী দীপা চক্রবর্তী হুমকি দেন যে, নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের ক্ষমতায় আবারও ফিরলে বাংলার নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সরকারকে ‘উৎখাত’ করা হবে এবং আগামী ৩ মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার(Lakhir Bhandar) প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হবে। দীপার সেই বক্তব্য শুধু উত্তরবঙ্গে নয়, রাজ্যজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেয়। যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাংলার কোটি কোটি মহিলার স্বনির্ভরতার পরিসর বাড়িয়েছে, সেই প্রকল্প বন্ধের হুমকি একজন মহিলাই দিচ্ছেন, এটাতেই সবাই অবাক হয়ে যান। তবে অনেকেই মনে করছেন, দীপার এই হুমকিতে বিজেপির আখেরে কোনও লাভই হবে না, বরঞ্চ ক্ষতিই হবে। নিশীথের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে এই হুমকি। এবার সেই হুমকি নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও।

Advertisement

এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে ছিল তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভা। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে আয়োজিত সেই সভায় যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চালু করা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বাংলার জনমানসে এবং অর্থনীতিতে রীতিমত জাঁকিয়ে বসেছে। এই প্রকল্পের প্রভাব এতটাই বেশি যে, রাজ্যের বিরোধী দলগুলির নেত্রীরা থেকে শুরু করে মহিলা সমর্থকেরা পর্যন্ত সেই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন বা আবেদনের দৌলতে সেই সুবিধা পাচ্ছেন। পরিস্থিতি এমনই যে শুধুমাত্র এই প্রকল্পের জন্য মহিলা ভোট হারাবার ভয়ে পাচ্ছে বাংলার তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই অবস্থায় যদি সেই প্রকল্পই বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় তাহলে কী মমতা চুপ করে বসে থাকবেন। থাকেনওনি। এদিন তিনি পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, ‘বিজেপির এত বড় সাহস, বলছে কিনা ৩ মাস বাদে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। আমি বলি, তুমি কে হরিদাস? মায়ের আঁচলের কত দাম জানো? ছিঃ বিজেপি। মাথাটা কী গিয়েছে। মায়ের আঁচলের কত দাম, মা - আম্মার কত দাম, এবার দেখে নেবেন।’

Advertisement

এরপরেই মমতা পাল্টা শুনিয়ে বলেন, ‘ বিজেপি মেয়েদের সম্মান জানাও। বিলকিস আজও কেঁদে কেঁদে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাথরাসের ঘটনার কোনও বিচার হয়েছে, হকির টিমের কোনও বিচার হয়েছে? তোমার সাহস থাকে তো দেখি তুমি লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেখাও। সাহস থাকলে বন্ধ করে দেখাও। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-বোনেদের জন্য করেছে। আপনারা সারাজীবন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস। মা লক্ষ্মীর অধিকার কাড়তে এসেছে? লজ্জা করে না? লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেখাক। সাহস কতো দেখি। আপনারা সবাই শুনে রাখুন, জীবনভর পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’ উল্লেখ্য, বাংলার বুকে এখন ২ কোটি ১৩ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পান। সাধারন বাড়ির মহিলারা চলতি এপ্রিল মাস থেকে পাচ্ছেন ১০০০ টাকা করে বছরে ১২ হাজার টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা পাচ্ছেন মাসে ১২০০ টাকা করে বছরে ১৪৪০০ টাকা। আর এই প্রকল্প চালাতা রাজ্য সরকারের এখন বছরে খরচ পড়ছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। সেই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার সাহস কে দেখাবে! আর দেখালেও কী বাংলার মায়েরা ছেড়ে কথা বলবে! বিজেপির নেত্রী যিনি এই হুমকি দিয়েছেন, তিনি সম্ভবত এই সারসত্যটাই ভুলে গিয়েছেন।

Advertisement
Tags :
Advertisement