For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

ঋণের দায়ে কৃষিজমি বিক্রিতে সায় নেই মুখ্যমন্ত্রীর, মীমাংসার পথে রাজ্য

ঋণের দায়ে কৃষকের হাতে থাকা কৃষিজমি বিক্রিতে সায় নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর এই বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নজর কাড়ছে সকলের।
01:49 PM Dec 16, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
ঋণের দায়ে কৃষিজমি বিক্রিতে সায় নেই মুখ্যমন্ত্রীর  মীমাংসার পথে রাজ্য
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গুর(Singur) ও নন্দীগ্রামের(Nandigram) জমি আন্দোলনের হাত ধরেই বাংলার মসনদে এসেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই কথা তিনি ভুলে যাননি। তাই সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের উন্নয়নের দিকে তাঁর যেমন বিশেষ নজর রয়েছে তেমনি, তৃণমূলের(TMC) নানা আন্দোলনের সূচনাও ঘটেছে এই দুই জমি আন্দোলনের পীঠস্থান থেকে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বাংলার কৃষকদের(Farmers of Bengal) আর্থিক উন্নয়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছেন। তাঁদের আয় বৃদ্ধির জন্য যেমন কৃষকবন্ধু(Krishak Bandhu) প্রকল্প চালু করেছেন, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে তাঁদের শস্যাহানির আর্থিক ক্ষতি এড়াতে বাংলা শস্য বিমা যোজনা চালু করেছেন। আবার সরাসরি তাঁদের কাছ থেকে যেমন ধান কেনার সুযোগ করে দিয়েছেন, তেমনি তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য কিষাণ মান্ডিও গড়ে দিয়েছেন। এবার সামনে এল আরও এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তের কথা। ঋণের দায়ে কৃষকের হাতে থাকা কৃষিজমি বিক্রিতে সায় নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Advertisement

ঠিক কী হয়েছে? বামজমানায় মূলত কৃষি যন্ত্রাংশ কেনার জন্য গ্রাহক পিছু মাত্র ৪০ হাজার টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছিল। তবে নানান কারণে সেই ঋণ শোধ না করায় গ্রাহক পিছু সুদ সমেত মোট অঙ্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকায়। ফলে একাধিকবার চেষ্টা করেও সুদ তো দূরের কথা, ঋণের আসল টাকাই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  রাজ্যে এমন উদাহরণ রয়েছে ভূরি ভূরি। কেবল ১৯৮০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত হিসেব নিলেই এই অনাদায়ী অর্থের অঙ্কটা বিপুল। রাজ্য সমবায় দফতরের অধীনে থাকা দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ প্রদানকারী ব্যাঙ্কগুলি প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। এর জেরে এই ধরনের ২৪টির মধ্যে ৬টি ব্যাঙ্ক একেবারে রুগ্ন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই এককালীন পরিশোধ নীতি এনে অনাদায়ী ঋণের একটি বড় অংশ এখন ফেরাতে চাইছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেননা কোষাগারে টান পড়েছে। আর তাই গ্রাহক পরিবারগুলিকে ঋণের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে মোট বকেয়ার ৩০ শতাংশ অঙ্ক মকুব করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   
তবে শুধুমাত্র ২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত কৃষিঋণকেই টার্গেট করে কাজে নামছে নবান্ন। সূত্রের খবর, সমবায় দফতরের অধীনে থাকা West Bengal Co-Operative Agriculture and Rural Development Bank Limited’র হিসেব অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের সময়কালের পরে বা সাম্প্রতিককালে দেওয়া ঋণ এখনও নিয়মমাফিক ফেরত পাওয়ার জায়গায় রয়েছে। তবে ২০-২৫ বছর কেটে গিয়েছে এমন ক্ষেত্রগুলির জন্যই প্রথম পর্যায়ে এককালীন মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।  মূলত কৃষি যন্ত্রাংশ কেনার জন্যেই ৫-৭ বা ১৫ বছরের জন্য এই দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছিল। এই ঋণ পেতেও Fixed Deposit, Life Insurance Policy বা জমির মতো সম্পত্তি জমা রাখতে হয়।

Advertisement

সেক্ষেত্রে কেউ যদি এই One Time Settlement-এ যান, তাহলে প্রথমে তাঁর এই সম্পত্তির অঙ্ক বাদ দেওয়া হয়। তবে নয়া নীতিতে কৃষকের জমি কিন্তু কোনও মতেই বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে না। কারণ, ঋণের দায়ে কৃষিজমি বিক্রিতে মুখ্যমন্ত্রীর সায় নেই। এই নীতি চালু করতে রাজ্যের অর্থ দফতরের ছাড়পত্র চেয়ে ফাইল এসেছে নবান্নে। সেটা চালু হলে কয়েক হাজার কৃষক উপকৃত হবেন বলেই জানা গিয়েছে। অনাদায়ী ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ার কারণে রাজ্যের একাধিক জেলার Agriculture Rural Development Bank-গুলির পরিস্থিতি করুণ। ফলে আগামী দিনে সার্বিকভাবেই Credit Counselor নিয়োগ করে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ কমানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে রাজ্য। তবে এসবের মধ্যে ঋণের দায়ে কৃষকের হাতে থাকা কৃষিজমি বিক্রিতে মুখ্যমন্ত্রীর সায় না দেওয়ার ঘটনা বাড়তি করে সকলের নজর কেড়ে নিচ্ছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement