আদিবাসী গ্রামে এল মুখ্যমন্ত্রীর উপহার, বাহা পরবের প্রস্তুতি ধামসা-মাদলে
নিজস্ব প্রতিনিধি: বসন্ত আসতেই গাছের পুরনো পাতা ঝরা শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই শাখায় শাখায় নতুন পাতা আসবে। ফুল ধরবে। শালগাছের ফুল মাথায় গুঁজে নতুন শাড়ি পরে আদিবাসী মেয়েরা ধামসা মাদলের(Dhamsa Madal) সুরে নাচবে। গ্ৰামের ছেলে, বুড়োর দল ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গান ও নাচের দলের মহড়া চলছে। দোল পূর্ণিমার পর থেকেই শুরু উৎসব, বাহা পরব(Baha Parab)। গাছে নতুন পাতা, ফুল ও ফল এলেই ধামসা মাদলের সুরে নতুন প্রকৃতিকে আহ্বান জানান আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন, সেটাই বাহা পরব। বাংলার আদিবাসী গ্রামগুলিতে সেই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এতদিন হুগলি জেলার(Hooghly District) আরামবাগ মহকুমার গোঘাট-২ ব্লকের বেঙ্গাই পঞ্চায়েতের ইদলবাটি গ্রামে(Idalbati Village) সেই উৎসব ঠিক যেন ছন্দ পেত না। কেননা সেখানে ছিল না ধামসা মাদল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত ধরে এবার সেই ছবি বদলে যাচ্ছে। কেননা তিনি এই গ্রামে পাঠিয়েছেন উপহার। তাঁর কার্যালয় থেকে দু’সেট ধামসা মাদল গ্ৰামে এসে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত গ্ৰামের মানুষ।
উৎসবের দিনে ধামসা মাদল বাজিয়ে নাচতে না পারায় মনে বেশ দুঃখ হতো ইদলবাটি গ্রামের বাসিন্দা আদিবাসী পরিবারগুলির পুরুষ ও নারীদের মধ্যে। সেই জন্যই তাঁরা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। একমাস আগে মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই গ্ৰামের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উদ্বোধনে এসেছিলেন। সেই সময় গ্ৰামের বাসিন্দারা তাঁর কাছে ধামসা মাদলের দাবিটি তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে তা পৌঁছে দেওয়ার আবেদনও করেছিলেন। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়েছিলেন আরামবাগে সভা করতে। সেখানেও তাঁর কাছে আবেদন জানান ইদলবাটির বাসিন্দারা। তারপরেই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার নবান্ন থেকে চলে আসে ২ সেট ধামসা মাদল, যা মুখ্যমন্ত্রী নিজেও খুব পছন্দ করেন। সম্প্রতি জেলা সফরে বার হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই দেখা যায় বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুরে তিনি যেমন ধামসা বাজিয়েছেন তেমনি মাদলের সুরে মঞ্চে পাও মিলিয়েছেন। এবার তাঁর সৌজন্যেই ইদলবাটির বাহা পরব বেশ রঙিন হয়ে উঠতে চলেছে।