For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘মাটির বাড়িতে যারা পদ্ম আঁকছেন, তাঁদের বলি, ওটা পদ্ম নয়, গদ্য নয়, ভাঁওতা, জুলুমবাজি’

আমরা চাই গরিবের ভালবাসা। আমরা চাই আদিবাসী, মাহাতোদের নিয়ে একসঙ্গে থাকতে। আর ওরা চায় শুধুই দাঙ্গা - পুরুলিয়ায় মমতার বার্তা।
05:01 PM Apr 07, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘মাটির বাড়িতে যারা পদ্ম আঁকছেন  তাঁদের বলি  ওটা পদ্ম নয়  গদ্য নয়  ভাঁওতা  জুলুমবাজি’
Courtesy - Facebook
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪’র ভোটযুদ্ধে(Loksabha Election 2024) পুরুলিয়া লোকসভা(Purulia Constituency) কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে শান্তিরাম মাহাতোকে। এদিন অর্থাৎ রবিবার তাঁর সমর্থনেই কাশিপুরে এক সভায় যোগ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সভা থেকেই তিনি ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনা নিয়ে যেমন কেন্দ্রকে নিশানা বানিয়েছেন, তেমনি জেলার জনতাকে আশ্বস্তও করেছেন রাজ্যের প্রকল্প তুলে ধরেও। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা যে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পরেও নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছেন না সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। দেখার বিষয় পুরুলিয়ার জনতা এবারেও উনিশের মতো বিজেপিকেই বেছে নেন, নাকি সেখানে পরিবর্তন ঘটান।

Advertisement

এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘রাস্তায় আসতে আসতে দেখলাম আমার ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেন মোছা হয়নি? তাঁর নামে বন্ধু-কেন্দ্র। এটা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল? আমি আঙুল দিয়ে দেখালাম। গাড়িতে আসতে আসতে আমার চোখে পড়ল, দুটো বাড়িতে পদ্মফুল আঁকা হয়েছে আর একটা বাড়িতে তৃণমূল(TMC)। মাটির বাড়িতে যাঁরা পদ্ম আঁকছেন, তাঁদের বলি, ওটা পদ্ম নয়, গদ্য নয়, ভাঁওতা, জুলুমবাজি। আমরা চাই গরিবের ভালবাসা। আমরা চাই আদিবাসী, মাহাতোদের নিয়ে একসঙ্গে থাকতে। আর ওরা চায় শুধুই দাঙ্গা। যারা মাটির বাড়িতে থাকেন, জেনে রাখবেন ভোটের আগে বিজেপির(BJP) কল সেন্টার থেকে ফোন করছে। বলছে নতুন করে আবেদন কর, তাহলেই ঘরটা পাবে। আমি বলছি, লাগবে না, কারণ ভোটের পর আমরা বাড়ি করে দেব, নতুন করে নাম লিখলে নামটা বাদ দিয়ে দেবে। যাঁদের মাটির বাড়ি তাঁদের বলতে চাই ৩ বছর ধরে মোদী সরকার কোনও টাকা দেয়নি, আপনাদের ঘর তৈরি করতে, ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। ৫৯ লাখ জব কার্ড হোল্ডারের টাকা আমরা দিয়েছি।’

Advertisement

মমতা এদিন জানান, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ২ কোটি ৫ লক্ষ মহিলা টাকা পেয়েছেন। চিন্তা করবেন না, তৃণমূল যতদিন বাংলার ক্ষমতায় থাকবে ততদিন আপনারা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন, জয় জোহর পাবেন, বার্ধক্য ভাতা পাবেন, বিধবা ভাতা পাবেন। মোদিবাবুর প্রকল্পের নাম, আয়ুষ্মান ভারত। আপনি একটা সাইকেলও পাবেন না। আমরা ৯ কোটি মানুষকে সুবিধা দিচ্ছি। আমাদের গ্যারান্টি গ্রামের জনতা, ১০০ দিনের কাজের টাকা। মোদিবাবুর গ্যারান্টি শুধু নিজের ছবি দেখা। ৫ কেজির খাবারের বস্তাতেও মোদিবাবুর ছবি। কোনও দেশে এ রকম হয় না। আমি যে চাল, গম দিই, তাতে কি এ রকম ছবি দিই? আগামীদিনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে, আদিবাসী ভাতা চলবে, পুরুলিয়ার রূপসী বাংলাও বাঁচবে, ধামসা মাদল চলবে। আগামী এক-দেড় বছরে মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি, জলের সমস্যা মিটিয়ে দিতে। ঘর ঘর মে পানি মোদিজির গ্যারান্টি নেহি হ্যায়, আমাদের গ্যারান্টি।’   

মমতা জানান, ‘পঞ্চায়েত স্তরে গন্ডগোল ছিল। সেটা সংশোধন করা হয়েছে। বিজেপির গদ্দারেরা বলেছে টাকা দেবেন না। তদন্ত করুন। করে কী হল? উত্তরপ্রদেশেও তদন্ত করতে গিয়েছিল। ৮৫ লাখ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। ২৮টি প্রকল্পে কিছু গন্ডগোল ছিল। আমরা সংশোধন করেছি। সব পঞ্চায়েত আমাদের হাতে নেই। বিজেপিরও রয়েছে। তোমার পঞ্চায়েত চুরি করলে তোমার দায়িত্ব। প্রচুর জায়গায় বাম-রাম-কংগ্রেস এক সঙ্গে রয়েছে। তুমি চুরি করলে আমার দায়িত্ব? আগে রাজ্য সরকার পর্যবেক্ষণ করত। এখন কেন্দ্র করে। ১১ লক্ষ বাড়ির তালিকা পাঠিয়েছিলাম। বাড়ি দেওয়ার জন্য। ১ লাখ বাড়ির টাকাও পাঠায়নি।’

Advertisement
Tags :
Advertisement