For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘এই অর্ডার বেআইনি, আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি’, চাকরিহারাদের পাশে মমতা

যাদের কেউ নেই, তাঁদের আছে মমতা। আজ আবারও নতুন করে তা প্রমাণ করে দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা। দাঁড়ালেন চাকরিহারাদের পাশে।
02:03 PM Apr 22, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘এই অর্ডার বেআইনি  আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি’  চাকরিহারাদের পাশে মমতা
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়(School Teachers Recruitment Scam) এদিন সকালেই কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের চাকরি খারিজ করে দিয়েছে এক রায়ের মাধ্যমে। সেই রায়কে ঘিরে এখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই অবস্থায় সবাই অপেক্ষা করছিলেন এই রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) কী বার্তা দেন তার দিকে তাকিয়ে। সেই বার্তা এদিনই এল দুপুরবেলায়। এদিন উত্তরবঙ্গের(North Bengal) রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের(Raiganj Constituency) তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ২টি সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে প্রথম সভাটি তিনি করেন চাকুলিয়ায়। সেই চাকুলিয়ার সভা থেকেই মমতা দিয়ে দিলেন বড় বার্তা। প্রকাশ্যেই তিনি দাঁড়ালেন চাকরিহারাদের পাশে। দিলেন তাঁদের বার্তাও যাতে তাঁরা চিন্তা না করেন।

Advertisement

এদিন মমতা বলেন, ‘বলেছিল বোমা ফাটাবে। কী বোমা না, ২৬ বাজার শিক্ষকদের চাকরি চলে যাবে, এমন বোমা। যারা চাকরি হারালেন তাঁদের সবাইকে বলছি, হতাশ হবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা পাশে আছি। যত দূর দরকার, লড়াই করব। দেখলেন না সুপ্রিম কোর্ট এটাকে সরিয়ে দিয়েছিল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি। এই রায় বেআইনি। আমি বিচারক নিয়ে বলছি না। রায় নিয়ে বলছি। রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি। ২৬ হাজার শিক্ষক মানে দেড় লক্ষ পরিবার। আবার বলছে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুদ সহ বেতনের টাকা ফেরত দাও। ৭-৮ বছর চাকরি করে এখন বলছে টাকা ফেরত দাও। ব্লুন তো কোথা থেকে কে টাকা ফেরত দেবে? আমরা যাদের চাকরি দিচ্ছি, আপনারা আইনের খোঁচায় তাঁদের সেই চাকরি কেড়ে নিচ্ছেন। কিন্তু চিন্তা করবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীরা, আমরা আপনাদের পাশে আছি। বিজেপি পিল করলে বেল, আমরা পিল করলে জেল। কী করবেন? আমায় জেলে পাঠাবেন? মানুষের পাশ থেকে সরব না। পরিবারের পাশে আছি।’

Advertisement

এদিন মমতা নাম না করেই ফের আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, ‘বলেছিল বোমা ফাটাবে। এমন বোমা যে ২৬ হাজার মানুষের চাকরি চলে গেল। আমি বলছি তুই কি করে জানলি এই রায় দেবে। তোরা লিখে দিয়েছিস বলেই তো বলতে পেরেছিস। সোমবার রায় দিচ্ছে আর তার আগে শনিবার ও বলে দিচ্ছে কী হবে। আমি সরাসরি বলছি, আদালতের রায় আগেই জেনে যাচ্ছে বিজেপি। বেছে বেছে এখানে লোক পাঠানো হচ্ছে যারা বিজেপির লেখা রায় পড়ে দেবে। আমি দুঃখিত। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি। কী করবেন! জেলে পুরবেন আমায়। পুরুন। আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মানুষের পাশে আমি থাকবোই। এই রায় বেআইনি রায়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। কেউ হতাশ হয়ে পড়বেন না। কেউ চিন্তায় পড়বেন না। আমরা আপনাদের জন্য লড়বো। বলছে বোমা ফাটাবে। বোমা কী? মানুষের জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার নাম বোমা। কোর্ট কী রায় দেবে আগে জানলি কী ভাবে? সোমবার রায় দেবে, শনিবার জানলি কী ভাবে? যদি রায় নিজেরা লিখে না দিস? কার বাড়ি সিবিআই যাবে, আগেই বলছে। কী ভাবে? ওহে গদ্দার, এ বার বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না।’

এদিন মমতা আরও বলেন, ‘একজনকে দেখলেন না, বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল। এটা তাঁর অর্ডার ছিল। সুপ্রিম কোর্ট নতুন ডিভিশন বেঞ্চ করে আলোচনা করতে বলেছিল। কাকে নিয়ে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ করবেন? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। টোটাল রায়টাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ ২৬ হাজার চাকরি মানে প্রায় দেড় লাখ দুই লাখ পরিবার। বলছে আট বছর ধরে তাঁরা চাকরি করেছে, চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরাতে হবে। এটা সম্ভব? আপনারা যাঁরা এই রায় দিচ্ছেন সারা জীবন যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদের টাকা যদি ফেরত দিতে বলা হয় তাঁরা পারবেন দিতে? … মানুষ আপনাদের সম্মান করে , আমরা আপনাদের সম্মান করি। বেকারের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। আমি বিচারপতিকে নিয়ে কিছু বলছি না। কিন্তু, এই অর্ডারটা বেআইনি অর্ডার। এটা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। চিন্তা করবেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং ছাত্রছাত্রীরা। আর কেউ না থাকলেও আমি আছি। আরও দশ লাখ সরকারি চাকরি আমার প্রস্তুত। একটা BJP-র বিচারালয় হয়েছে, BJP PILকরলে বেল, অন্য কেউ করলে জেল। এটা বিচারপতিদের দোষ নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ। তাঁরা BJP-র লোক দেখে দেখে এখানে বসিয়েছেন। যাতে BJP-র পার্টি অফিস থেকে যা বলে দেয় তার ড্রাফটা করে দেন। ডিফামেশন করবেন? আমি তৈরি। মানুষের জন্য কথা বলার জন্য যদি আমাকে শাস্তি নিতে হয় আমি মাথা পেতে নেব। পরিবার বিপদে পড়লে পাশ থেকে সরে যাব।’

Advertisement
Tags :
Advertisement