For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

কেন্দ্রের পাল্টা রাজ্যের বিজ্ঞাপন, বঞ্চনার মধ্যেই প্রচেষ্টা উন্নয়নের

এদিন সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে ঘুরছে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপণ, যেখানে তুলে ধরা হয়েছে কেন্দ্র কী দিয়েছে আর কী দেয়নি।
11:33 AM Mar 15, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
কেন্দ্রের পাল্টা রাজ্যের বিজ্ঞাপন  বঞ্চনার মধ্যেই প্রচেষ্টা উন্নয়নের
Courtesy - Facebook
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমে এবার শুরু বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের নেপথ্যে রয়েছে দুই রাজনৈতিক দল। বিজেপি(BJP) ও তৃণমূল(TMC)। রয়েছে দুই সরকারও, কেন্দ্র ও রাজ্যের। দুই সরকারেরই দাবি, তাঁরা বাংলার(Bengal) জন্য কী কী করেছে। তবে অস্বীকার জায়গা নেই যে, বিজেপির থেকে যোজন এগিয়ে তৃণমূল। কেন্দ্রের দাবি অপেক্ষা রাজ্যবাসীর আস্থা নবান্নের প্রতি। কেননা কেন্দ্রের যে সরকার গত ২ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা, রাস্তার টাকা, মিড ডে মিলের টাকা আটকে রেখেছে, তাঁদের দাবির কথা কে বিশ্বাস করবে! কেউ করছেও না। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়ে দিন দুই আগে দাবি করেছিল বাংলাকে তাঁরা কী কী দিয়েছে। সেই দাবির জেরেই গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই দাবি জানিয়েছিলেন, ওই বিজ্ঞাপণের(Advertisement) দাবি ভুয়ো। প্রয়োজন হলে বিজেপি প্রকাশ্যে তর্কে আসুক নথি নিয়ে। কিন্তু সেই পথ মাড়ায়নি বিজেপি। আর এদিন সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে ঘুরছে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপণ, যেখানে তুলে ধরা হয়েছে কেন্দ্র কী দিয়েছে আর কী দেয়নি। একই সঙ্গে কেন্দ্রের বঞ্চনার মধ্যেও কীভাবে রাজ্যের উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার সেই তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

এদিন রাজ্যের বিজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, ‘বিগত ৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সরকারকে ৬,৮০,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করা সত্ত্বেও কেন্দ্রের কাছ থেকে ন্যায্য অর্থপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং অনেক কেন্দ্ৰীয় প্রকল্প এ রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে বহু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।’ এরপরেই তুলে ধরা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে বাংলার কোন কোন খাতে কত কোটি টাকা বকেয়া আছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘২০২১-২২ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বকেয়া অর্থের পরিমাণ – ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বা MGNREGA’র জন্য বকেয়ার পরিমাণ ২৯,২২৯ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা PMAY’র জন্য বকেয়া ২৪,২৭৫ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা বা PMGSY বাবদ বকেয়া আছে ২,৮৪১ কোটি টাকা। NSAP বাবদ বকেয়া ২৩৮ কোটি টাকা এবং NHM বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ২,২৯৮ কোটি টাকা।’

Advertisement

একই সঙ্গে বকেয়া রয়েছে, ‘খাদ্য বাবদ ভর্তুকি ৮,৩০০ কোটি টাকা, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ক্ষেত্রে ৩,৫০৭ কোটি টাকা, সমগ্র শিক্ষা অভিযান বাবদ বকেয়া ১৭,৩০০ কোটি টাকা, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যকে আয়কর বাবদ হস্তান্তর বাবদ বকেয়া ২৫,২২৫ কোটি টাকা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ দাবি ৪৩,৫০৮ কোটি টাকা, প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনা বাবদ বকেয়া ১২০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য প্রকল্প বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ১৭,১৬১ কোটি টাকা।’ এর পাশাপাশি রাজ্যের বিজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দিয়েছে - অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য স্কলারশিপ, MSDP ও ICDS কর্মীদের বেতন।’ একই সঙ্গে রাজ্যের বিজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারপোষিত প্রকল্পে রাজ্যের দেয় অংশ (এনএইচএম, জলজীবন মিশন, রাস্তা ইত্যাদি সহ): সাধারণত প্রকল্পগুলির ৪০% খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। তা ছাড়া, প্রকল্পের জমি, রক্ষণাবেক্ষণ প্রভৃতির খরচ বহনের দায়িত্বও রাজ্য সরকারের। ফলত এই প্রকল্পগুলিতে রাজ্যের অংশীদারি ৪০ শতাংশের অনেক বেশি।’

রাজ্যের বিজ্ঞাপণে এই কথাও বলা হয়েছে যে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট যথাযথভাবে জমা দেওয়া হয়েছে। ৩৩০-টিরও বেশি কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে পরিদর্শন করে গিয়েছে। সেই ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। রং, লোগো ইত্যাদি ব্যতীত কেন্দ্রীয় সরকার পোষিত প্রকল্প সংক্রান্ত নির্দেশিকাগুলি রাজ্য সরকার অনুসরণ করেছে। মোট বকেয়া অর্থের পরিমাণ: ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ০০২ কোটি টাকা।’ কেন্দ্রের কাছে বাংলার এই বকেয়ার হিসাব তুলে ধরার পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে রাজ্য সরকারের নানান আর্থসামাজিক প্রকল্প। তার মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে নারীর ক্ষমতায়ণের জন্য রাজ্য সরকারের ৬২,০৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প, কৃষকদের ক্ষমতায়ণের জন্য ২৩,২৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের নেওয়া পদক্ষেপ, শিক্ষা ক্ষেত্রের পদক্ষেপ, গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচি এবং অনান্য কর্মসূচি।

Advertisement
Tags :
Advertisement