মোদির অর্থনীতির চেয়ে দিদির অর্থনীতি অনেক ভাল , দাবি বুদ্ধিজীবী মহলের
নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে বিজেপি ক্রমাগত যে মিথ্যে তথ্য এবং ভুল পরিসংখ্যান দিয়ে জনমতকে প্রভাবিত করতে চাইছে আমরা সেই বিষয়ে সচেতন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলছি। আসলে এই সবই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেরুকরণের প্রচেষ্টার আরেকটা রূপ। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ মনে করে বিজেপিকে(BJP) হারাতে হলে সব বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। তাই যে রাজ্যে যে শক্তিশালী, তাদেরকেই ভোট দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূলই বিজেপিকে হারানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত দল। তাই তাদেরকেই ভোট দিতে আমরা ভোটারদের আবেদন জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিরোধী ভোটাররা যেন অন্য কোনও রাজনৈতিক শক্তিকে মানে কংগ্রেসকে বা সিপিএমকে ভোট দিয়ে নিজেদের ভোট নষ্ট না করে।নির্বাচন কমিশন যেন সুষ্ঠুভাবে, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে।
সমস্ত বুথে পোলিং এজেন্টরা যেন ফর্ম ১৭সি-এর ব্যাপারে সতর্ক থাকেন। ভোটাররাও ইভিএম মেশিনে চাপ দিয়ে যেন সাত সেকেন্ড অপেক্ষা করে দেখে নেন তাঁর ভোট সঠিক জায়গায় পড়ল কি না। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য বারে বারে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের(Modi Goverment) অর্থনীতি আসলে ধনীদের আরও ধনী করেছে এবং গরিবদের আরও গরিব। এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার প্রতি নিয়ত সবার উন্নয়নের জন্য কাজ করে গিয়েছে। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ মনে করে নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভোট যেভাবে যেভাবে এগিয়েছে এবং যেভাবে আমজনতার মধ্যে ভোটদানের প্রবণতা বদলে গিয়েছে, আমরা সেই বিষয়টিও শেষ দফার ভোটগ্রহণের আগে সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই বার্তাই দেন বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে প্রতুল মুখোপাধ্যায়, কবি শঙ্খ ঘোষ, সৈকত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসু, রন্তি দেব সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীরা(Intelectual)।