OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে আরামবাগকে মমতার বার্তা পাশে থাকার

আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখতে মমতা এদিন আমজনতাকে পাশে থাকার অনুরোধ যেমন জানালেন, তেমনি কেন্দ্রের বঞ্চনাও তুলে ধরলেন।
04:30 PM Feb 12, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই লোকসভা নির্বাচন(General Election 2024)। সেই নির্বাচনে বিজেপির(BJP) লক্ষ্য বাংলার মাটি থেকে ৩৫টা আসন বের করা। উনিশের ভোটে বিজেপি বাংলা থেকে পেয়েছিল ১৮টি আসন। এবার তাঁরা সেই আসনের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে চায়। সেই জন্য তাঁদের নজর রয়েছে সেই সব কেন্দ্রের দিকে যেখানে হয় তাঁরা উনিশের ভোটে খুব কম ব্যবধানে হেরেছিল নতুবা একুশের ভোটে তাঁরা তৃণমূলের(TMC) থেকে এগিয়ে গিয়েছিল। এই দুই শর্তই পূরণ করেছে হুগলি জেলার(Hooghly District) আরামবাগ(Aarambag), যেখানে আজ অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সভা ছিল। বিজেপির হিসাবের খবর মমতাও রাখেন। তাই সেই আরামবাগের মঞ্চ থেকেই মমতা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে যেমন সরব হলেন তেমনি আরামবাগবাসীকে অনুরোধ জানালেন, ‘যখন যেটা দরকার, দিদির কাছে আবদার করবেন, দিদি দেখে নেবে। কিন্তু অন্যদের কথা শুনবেন না। ওরা যা বলে তা করে না। আমরা যা বলি, তা-ই করি। আমার কথাই আমার কাজ।’

গত লোকসভা ভোটে আরামবাগ কেন্দ্রে কোনও রকমে জিতেছিলেন তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার। মাত্র ১১৪২ ভোতে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে যে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র সেগুলি হল পুরশুড়া, আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল, হরিপাল, তারকেশ্বর ও চন্দ্রকোনা। এই ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একুশের ভোটে বিজেপি জেতে প্রথম ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে। তৃণমূল জেতে বাকি ৩টিতে। সেই সময়েই দেখা যায় ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির মোট প্রাপ্ত ভোট তৃণমূলের মোট প্রাপ্ত ভোটের থেকে ১০ হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ প্রায় ১১ হাজার ভোটে এগিয়ে থেকে এবার ২৪’র ভোটে আরামবাগে লড়াই শুরু করবে বিজেপি। সেই হিসাব নিয়েই এদিন মমতা সভার সুর বেঁধে দেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য। একদিকে যেমন বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনাকে তুলে ধরেন, তেমনি এলাকাবাসীর কাছে উন্নয়নের ছবি তুলে ধরে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার জন্য সব বন্ধ করে রেখেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, রাস্তার টাকা, আবাসের টাকা এমনকী স্বাস্থ্য মিশনের টাকাও আটকে রেখেছে। ১৫৫টি টিম পাঠিয়েছে। তারা গিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে সব ঠিক আছে। তারপরও বকেয়া টাকা দেয়নি। ছেলেরাও যেমন ঘরের সম্পদ, মেয়েরাও তেমনি ঘরের সম্পদ। এটা মনে রাখবেন। যখন যেটা প্রয়োজন, দিদির কাছে আবদার করবেন। দিদি তার সামর্থ্য অনুযায়ী করে দেবে। আমি যদি কখনও কাউকে কথা দিই, তাহলে আমি মরে যেতেও রাজি আছি, কিন্তু কথার খেলাপ আমি করি না, করব না।’

এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘২০২১ সালের ভোটের আগে ৩টে কথা বলেছিলাম। রেশন পাচ্ছেন তো? লক্ষ্মীর ভান্ডার দেব বলেছিলাম, কৃষক বন্ধু দেব বলেছিলাম। পাচ্ছেন তো? আমরা রাজ্যে ৬টা ইকোনমিক করিডোর করে দিচ্ছি। এর দুধারে তৈরি হবে শিল্প। ডানকুনি-কল্যাণী। ডানকুনি-বাঁকুড়া -পুরুলিয়া হয়ে রঘুনাথপুর, ডানকুনি-মালদহ, ডানকুনি-হলদিয়া, পানাগড়-কোচবিহার। এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি হবে। বাংলার জন্য সব বন্ধ। বাংলার বাড়ি বন্ধ, বাংলার রাস্তা বন্ধ, একশো দিনের কাজ বন্ধ। আগে একশো দিনের কাজের কথা বলা হতো, কিন্তু হতো কাজ ৪০-৪৫ দিন।‌ কিন্তু আমরা ঠিক করেছি আমরা নিজেদের থেকেই বছরে ৫০ দিন কাজ দেব। এই প্রকল্পের নাম কর্মশ্রী। পরিযায়ী শ্রমিকরা যে যেখানে কাজ করেন তাদের জন্য সরকার পাশে রয়েছে। তাদের ৫ লাখ টাকা হেলফ ইন্সোরেন্স দেওয়া হবে। আমরা মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের জন্য ৫০০ টাকা বাড়িয়েছি। তাঁরা মাসে পাবেন ২০০০ টাকা। গঙ্গাসাগরের ওপর সেতু করবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভর করে নয়। অনেকদিন অপেক্ষা করা হয়েছে। দিদিকে আবদার করবেন দিদি সব দেবে। আমরা থাকলেই বিনা পয়সায় রেশন পাবেন, লক্ষ্ণীর ভান্ডার পাবেন, শিক্ষাশ্রী পাবেন, মেধাশ্রী পাবেন, রাতঘাট সেতু পাবেন।’ সব শেষে আত্মপ্রত্যয়ী মমতা বলে ওঠেন, ‘খেলা হবে। খেলতে হবে। পরাজয় মানব না। জয়ী হব, জয়ী হব, জয়ী হও, জয়ী হও।’

Tags :
AarambagBJPGeneral Election 2024Hooghly District.Mamata BanerjeeTmc
Next Article