ছত্রিশগড়ের জঙ্গল থেকে মাও স্কোয়াডের সশস্ত্র সদস্যরা অন্যত্র সরছে
নিজস্ব প্রতিনিধি: ছত্রিশগড়ে রবিবার বিজেপির ভালো ফল হতেই সেখানকার বক্সার জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় গভীর জঙ্গলে যে মাওবাদীরা রয়েছে তাদের উৎখাত করতে বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করল গ্রে-হাউন্ড বাহিনী। এদিকে জানা গিয়েছে দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির দায়িত্বে থাকা মাওনেতা(Maoist Leader) গজরালা রবি মাও স্কোয়াডের সদস্যদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদীদের পার্টি কংগ্রেস সঠিক জায়গা পাচ্ছে না বলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
ছত্রিশগড়ে মাওবাদীরা তাদের বকেয়া প্লেনাম অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ছত্রিশগড়ের বিধানসভার ফলাফলের পর সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। আপাতত মাওবাদীরা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার জঙ্গলের দিকে আশ্রয় নিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। কারণ তারাও বুঝতে পেরেছে এবার ছত্রিশগড়ের মাও অধ্যুষিত জেলাগুলিতে সশস্ত্র মাওবাদীদের খতম করতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে পুলিশের স্পেশাল টিম। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য কমিটির নেতা ও পলিটব্যুরোর মাও দলে অন্তর্ভুক্ত ৫৮ বছর বয়সী গজরালা রবিকে(Gajrala Rabi) গ্রেপ্তার করতে মরিয়া প্রশাসন।
বক্সার সংলগ্ন পাঁচটি জেলায় যেখানে যেখানে গভীর জঙ্গল রয়েছে সেখানে অভিযানের প্রস্তুতি রবিবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের দাবি , অভিযান শুরু হবে বুঝতে পেরেই ছত্রিশগড়ের বিধানসভার ফলাফল প্রকাশ হতেই দুপুরের পর থেকেই ঘন জঙ্গল থেকে মাও স্কোয়াডের সদস্যরা তাদের অস্থায়ী শিবির নিয়ে অন্যত্র সরতে শুরু করে দিয়েছে। যদিও গ্রে -হাউন্ড বাহিনীর দাবি সাঁড়াশি অভিযানে খতম হবে দণ্ডকারণ্য স্পেশাল মাও জোনাল কমিটির সশস্ত্র সদস্যরা।
ফলে গভীর জঙ্গলে ফের মাও এবং গ্রেহাউন্ড বাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ যে খুব শীঘ্রই শুরু হবে, তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিকে ছত্রিশগড়ের(Chattrishgar) প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর আগে দাবি করা হয়েছিল দণ্ডকারণ্য স্পেশাল মাও জোনাল কমিটির অন্যতম নেতা মেউক্যাম হিডমাকে খতম করেছে। কিন্তু মাওবাদীরা দাবি করে সে এখনো জীবিত আছে।মাওবাদীরা ইতিমধ্যে বিহার, ঝাড়খন্ড ,উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে তাদের আস্তানা হারিয়ে ফেলেছে।