মায়াপুরের ইসকনের রথ থেকে ভক্তদের বাতাসা না ছোড়ার নির্দেশ পুলিশের
নিজস্ব প্রতিনিধি,মায়াপুর: রথযাত্রার শোভাযাত্রা থেকে বাতাসা বা প্রসাদ না ছোড়ার নির্দেশ পুলিশের। প্রসাদ দিতে হবে ভক্তদের হাতে । উত্তরপ্রদেশের হাতরাসের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পদপিষ্টর মত দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশের এই নির্দেশ মায়াপুর ইসকনকে(Mayapur Iskon)। নদিয়া জেলার মায়াপুর পুলিশ ফাঁড়ির নিকটে আসন্ন রথযাত্রা(Rathyayatra) ও মহরম উৎসব উপলক্ষে একই সঙ্গে সাধু ও মৌলবীদের নিয়ে সমন্বয় সভা করলেন জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা।নবদ্বীপ থানা ও কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মায়াপুর পুলিশ ফাঁড়ির(Mayapur Police Fari) নিকটে আসন্ন রথযাত্রা ও মহরম উৎসব উপলক্ষে একই সঙ্গে সাধু ও মৌলবীদের নিয়ে সমন্বয় সভা করলেন প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা।
বুধবার আনুমানিক বেলা বারোটা নাগাদ মায়াপুর যুব আবাস কেন্দ্রে এই সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপের বিধায়ক(MLA Nabwadip) পুন্ডরীকাক্ষ সাহা, জেলা সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা, নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তিওয়ারী সহ প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা।যেহেতু হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের দুটি অন্যতম প্রধান উৎসব রথযাত্রা ও মহরম দুটি দিনই প্রায় পাশাপাশি পড়েছে, সেই কারণে এদিন মায়াপুর ও অন্যান্য মঠের সাধু সন্ন্যাসীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক মুসলমান সম্প্রদায়ের মৌলবি ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরাও। বুধবার নবদ্বীপ থানার(Nabwadip P.S.) আরক্ষা আধিকারিক জলেশ্বর তিওয়ারী জানান, আসন্ন রথযাত্রা ও মহরম উপলক্ষে বেশ কিছু নিয়মবিধি করা হয়েছে।তার মধ্যে অন্যতম রথের সময় মায়াপুর ইসকন মন্দিরের রথ রাজাপুর মন্দির থেকে মায়াপুর মন্দিরে আসার সময় জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা দেবীর প্রসাদ হিসেবে একাধিক বাতাসা সাধু সন্ন্যাসীরা ভক্তদের দিকে ছুড়ে মারেন যার ফলে সেই বাতাসা কুড়িয়ে পেতে লেগে যায় ভক্তদের মধ্যে তাড়াহুড়ো, যার ফলে যে কোন মুহূর্তে সম্ভাবনা থাকে পদোপিষ্ট হওয়ার, তিনি সাধু সন্ন্যাসীদের অনুরোধ করেন প্রসাদের সেই বাতাসা ভক্তদের দিকে না ছুড়ে হাতে দেওয়ার।
এছাড়াও মায়াপুর ইসকনের রথ মূল রাস্তায় বেরোনোর সময় অন্য কোনও মঠ মন্দিরের রথ যাতে রাস্তার পাশে শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে না থাকে সেই দিকে নজর রাখতে বলেছে ।অন্যান্য মঠ মন্দির গুলিকে এতে ভিড় ও যানবাহনের চলাচলের সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানান তিনি। এছাড়াও সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখেই উৎসব পালন করতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ধর্ম যার যার উৎসব হোক সবার এই আনন্দে মেতে উঠুন সকলে।