২৫ বছর পর কলকাতার যে জলের প্রয়োজন তার প্ল্যানিং এখন থেকে আমরা করছি : ফিরহাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৫ বছর পরে যে জল লাগবে সেই নিয়ে প্ল্যানিং করছি আমরা। এর আগে তখনকার অনুযায়ী করা হয়েছিল । তাই ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের বুস্টার পাম্পিং বসাতে হয়েছে। বড় বড় আবাসন হয়েছে। তাই জলের অপ্রতুলতা কমছে। বিশেষ করে কলকাতা পুরসভার অ্যাডেড এরিয়াতে এই সমস্যাটা বাড়ছে। শনিবার কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জল সমস্যা নিয়ে এই মন্তব্য করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। তিনি আগুন লাগা প্রসঙ্গে বলেন,গাস্টিন প্লেসে আগুন।সন্তোষ পাঠকের(Santosh Pathak) ওয়ার্ড। দমকল বিভাগ দেখছে। কেন এটা হল। যদি কোন বেআইনি ব্যবস্থা থাকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরনো বিল্ডিং এ এভাবেই ম্যাজিনাইন ফ্লোর থাকে।কারো কাছে কোন খবর থাকে না।এক্রোপলিস মলের আগুন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর(Sujit Bose) কথা হয়েছে। ওরা পরিদর্শন করছে। অফিস গুলোর দিকটা যদি খুলে দেওয়া যায় সেটা দেখা হচ্ছে। অনেকগুলো কোম্পানি বন্ধ হয়ে আছে। এটা অনুরোধ করেছে। ওরা টেকনিক্যাল বিষয় দেখে সিইএসসিকে পাওয়ার দিতে নির্দেশ দেবে।ঝালদা ও তাহেরপুর বাদ। সোমবারের যে মিটিং হচ্ছে সেটাতে হয়তো তাদের প্রয়োজন নেই। তারা ভাল কাজ করছে। তাই তাদেরকে আর ডাকা হয়নি।এটা পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে ডাকা হয়নি। এটা নবান্ন থেকে ডাকা হয়েছে। বিভিন্ন পৌরসভার বৈঠক নিয়ে শনিবার এই মন্তব্য করেন মেয়র । তাঁর মতে নিশ্চয়ই কোন কারণ রয়েছে যে বিষয়ে এদের প্রয়োজন নেই।
নেট দুর্নীতি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন,ওটা তো ব্রাত্য বসু বলবেন।দুই কাউন্সিলরকে শোকজ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন ওটাঅরূপ বিশ্বাস মিটিয়ে দিয়েছেন।পুরনো বাড়ি পরান যায় যাক সম্পত্তি নয়। আমরা নিয়ম করে দিয়েছি পজিশন সার্টিফিকেট দিয়ে তারপর develop করার জন্য। যাতে কারো কোন অসুবিধা না হয়। তবু অনেকে ছাড়তে চাইছে না। বর্ষা র আগে উত্তর কলকাতার জন্য বেশ কয়েকটি স্কুল দেখা হয়েছে যাতে বিপদজনক বাড়ি থেকে ভারী বর্ষা হলে প্রয়োজনে এসে থাকতে পারে। দিনহাটাতে৫০ শতাংশ মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছেন কিন্তু ৫০ শতাংশ মানুষ কে আরো আমাদের কাছে আনতে হবে উদয়ন গুহ কি বলেছেন আমি জানিনা ।আমি গণতন্ত্রের কথা বলছি। আমরা চাই মানুষের মন জয় করতে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের মন জয় করেছেন বলে তিনবারের জন্য মানুষ নিয়ে এসেছেন। এবারে ও মানুষ উজার করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেরেছেন। অধীর বাবু পারেননি, শুভেন্দু পারেননি । শুধু হুংকার দিয়েছেন আর ইডি সিবিআই দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছেন।ইউজিসি নেট দুর্নীতি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন,কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ও নাম জড়িয়েছে। বিহারের ডেপুটি চিপ মিনিস্টারের নাম জড়িয়েছে। তদন্ত করলে বের হবে কে জড়িয়েছে। সেটা আমি জানিনা। কে আছে না আছে ব্যাপারটা জানি না। কিন্তু এটা ঠিক যে কেন্দ্রীয়ভাবে সব ধরে না রেখে রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া উচিত।রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি সুযোগ পাওয়া উচিত। তাতে প্রতিটি রাজ্যের উপকার হবে এবং কোরাপশন টাও বন্ধ হয়ে যাবে ।স্টেট ওয়াইস করা হোক। এটাই আমরা চাই।অনেক আসন ফাঁকা হয়ে থাকে। কারণ কেউ দিল্লিতে পেল। সেখানে বাড়ি থেকে দূরত্ব তাই যেতে চায়না। অনেকে সিটের জন্য বসে থাকে ।কিন্তু যায় না।রুফটপ রেস্তোরাঁ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন,কারো প্রভাব নয়। কোন চক্র আছে এমনটাও নয়। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না । কারণ কাউন্সিলরদের কোন ভূমিকা নেই। যারা বাড়িতে থাকেন তারা লক্ষ্য করেন না।সোনারপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন,ভোট পরবর্তী হিংসা বিজেপি করছে। আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। আমাদের কর্মী মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছি কারণ আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রয়েছি। পুলিশের দুর্বলতা নেই কারণ ওদেরকে ভয় পায়। গুজরাট ফেরানোর চেষ্টা করছে ওরা।আমার বাড়িতেও তিনবার সিবিআই রেড হয়েছে ।কিন্তু ভয় পাবো কেন ? জো ডর গেয়া ও মর গেয়া।কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই। পুলিশ ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (IPC)অনুযায়ী চলবে।মানিকতলা। কুনাল ঘোষের তোলাবাজি অভিযোগ।
কোথায় তোলাবাজি হচ্ছে আমি জানিনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আমি জানি তোলাবাজি আটকায় বিশেষ করে কলকাতায়। তোলাবাজি কাউন্সিলরের দেখার কথা না। প্রশাসনের দেখার কথা। প্রশাসন অত্যন্ত কঠোরভাবে দেখছে। মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের।কলকাতা দূষণমুক্তে দ্বিতীয়।কলকাতায় সারা বিশ্বের মধ্যে দূষণমুক্ত পদক্ষেপে দ্বিতীয় হয়েছে। কলকাতায় বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বিজ্ঞানী অভিজিৎ বাবু আমাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন বেশ কিছু। পরামর্শ মেনে আমরা বৃক্ষরোপণ থেকে কার্বন কমানো ওয়াটার স্প্রিংকলার স্প্রে করা। এই সমস্ত কাজ ৭০ শতাংশ করতে পেরেছি তাই আমরা দ্বিতীয় হয়েছি কিন্তু ১০০ শতাংশ করতে পারলে অনেকটাই দূষণ কমবে।শহরে সবুজায়ন আরো বেশি করে করতে হবে। ঝড় বেশি আসছে বলে বিশেষ দেবদারু এবং নিম গাছ লাগানো হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়ার বদলে। পার্কে আমরা কিছু ফলের গাছ বসাচ্ছি।আমরা যখন কাজ করছি বর্ষায় তখন বিজ্ঞানীরা বাড়িতে বসে এনজয় করছে। বিজ্ঞানীরাও সব জানেন। আমরা কিছু জানিনা ,এমনটা নয়। নির্দেশে যখন গাছের বেদি ভেঙে দেওয়া হলো তখন কিভাবে মাটি সরে গেল সেটা দেখেছি।হাওড়া সহ বেশ কিছু পুরসভার কাউন্সিলর পদ শূন্য রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিলে আমরা প্রস্তুত হব ।আমার ডিপার্টমেন্ট প্রস্তুত হব।