কারোর কোন অভিযোগ থাকলে ভিজিলেন্স অথবা পৌর সংস্থায় কিংবা দলের মধ্যে জানান: ফিরহাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি: জমি দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সক্রিয় হতে বলেছেন। তার জন্য মানুষের সাহায্য দরকার। কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজের স্বার্থে এটা বেআইনি ভাবে ব্যবহার করছেন বলে জানান মেয়র। শনিবার কলকাতা পুরসভায় সরাসরি মেয়রের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের সময় একটা ফোন কল চলে আসে। আর মেয়র চেয়ার ছেড়ে উঠে ফোনে বাইরে গিয়ে কথা বলেন । বউ বাজারের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন ,বেশ কিছুদিন থেকে এই গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে । একটা গুজবকে কেন্দ্র করে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। আইন নিজের হাতে নেওয়া একটা মারাত্বক বিষয়। মানসিক ধৈর্য হারাচ্ছে অনেকে। এটা একটা বিপদজনক সংকেত। পুলিশের ব্যর্থতা নয়। তার জন্য একটা মাস কাউন্সেলিং দরকার । মানুষ কিছু না জেনে মারা একটা হুজুগ হয়ে যাচ্ছে। কেন করা হচ্ছে। একটা সিভিলেজ সোসাইটি ।এটা হতে পারে না। একজনের ফোন হারিয়ে গেছে। কিন্তু সবাই মিলে একজনকে মারাচ্ছে। তাহলে তো সমাজই শেষ হয়ে যাবে, মন্তব্য মেয়রের। অনেক জায়গায় গঙ্গার পাড় ভাঙছে। আমরা যারা বাসস্থান হারাচ্ছি তাদেরকে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উচ্ছেদ নিয়ে মেয়র বলেন, আইন সবাইকে মানতে হবে। আমার জীবন যাপন করার অধিকার আছে। কিন্তু আমাদের আইন মানতে হবে। আমরা চাই না বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেব। আমরা চাই যে হকারদের সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করতে লিভ আন্ড লেট লিভ করতে হবে। বেরোনো আর ঢোকার রাস্তা ছেড়ে রাখতে হবে ।সেটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে। যেটা এন আর এস হয়েছে। চলাচলের পথ ফাঁকা রাখতে হবে। রাস্তায় যদি দাঁড়াতে না পারে তাহলে তো একটা বড় বিপদ হয়েছে। আমাদের অভিযান চালাতে হবে কেন। একটা সুস্থ সমাজে কেন বলতে হবে। মানুষ নিজেই তো সরিয়ে দেবে।
পার্কিং নিয়ে মেয়র বলেন যে, আধিকারিকদের বলেছি যে, আমরা নেটওয়ার্কিং করে দিচ্ছি। তিনটে নেটওয়ার্কিং করে দিচ্ছি। যারা ভুয়া এজেন্সির মাধ্যমে টাকা তুলছে সেটা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ক্রসিং থেকে৫০ ফুট ছেড়ে বসতে হবে বলে জানান মেয়র। আমরা আইনকে প্রণয়ন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের পাশাপশি নেতাদের জন্য নতুন হকারদের বসানো হচ্ছে। মেয়র বলেন যে অভিযোগ ঠিকঠাক করতে হবে ।শক্তিমান ঘোষ কি বলছেন আমি জানি না। রাস্তায় বসে যাওয়া হকার দের নিয়ে মেয়র বলেন যে সেটা পুলিশ দেখবে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমার কাছে সেখানে কে হকার সেটা দেখতে হবে।
বিধাননগরে বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে তিনি বলেন যে আইনত হোর্ডিং থাকবে। যাদের লাইসেন্স থাকবে তাদের হোর্ডিং থাকবে । বেআইনি থাকবে না। কৃষ্ণ চক্রবর্তী আর সব্যসাচী চক্রবর্তী কি বলছেন সেটা আমার দেখা নেই। আমরা বেআইনি হোর্ডিং ৪৭ টি সরিয়ে দিয়েছি। আমরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিধান নগর কে রাস্তার জন্য অনেক টাকা দিয়েছি। এটা প্রকাশ্যে কাম্য নয়। যদি কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার সোজা ভিজিলেন্স জানাও বা দলের মধ্যে বা পৌর সংস্থার মধ্যে বলুন ।কোচবিহারে বিবস্ত্র করে মারধর করার ইস্যুতে ফিরহাদ বলেন,বিবস্ত্র করে যদি কিছু করা হয় তাহলে অন্যায় করেছে। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা চাইব বিজেপি প্রতিনিধি দল মণিপুরে ও যাবে বলে জানান মেয়র।প্রধান বিচারপতি মত নিয়ে মেয়র বলেন যে, বিচারপতি দের নিজের মতামত থাকতে পারে। কিন্তু যখন বিচার ব্যবস্থা বসবেন তখন বিজেপির কথাতে বিচার করলে তখন বিচার ভুল হবে। তাই নিজের আইন অনুযায়ী তিনি তার রায় দেবেন। তাই বিচারের মূর্তির চোখে থাকে পট্টি , মন্তব্য মেয়রের।