For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

বাংলায় আর নয় Stamp Duty-তে ছাড়, কড়া মনোভাব মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলায় জমি-বাড়ি Registration’র ক্ষেত্রে Stamp Duty-তে ২ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা প্রত্যাহার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
09:28 AM Jul 02, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
বাংলায় আর নয় stamp duty তে ছাড়  কড়া মনোভাব মুখ্যমন্ত্রীর
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ২০২১ সালে জমি-বাড়ি Registration’র ক্ষেত্রে Stamp Duty-তে ২ শতাংশ ছাড়(Exemption) দেওয়ার কথা প্রথমবারের জন্য ঘোষণা করেছিলেন যা পর পর ৩টি অর্থবর্ষে বজায় ছিল। দেখা যাচ্ছে ওই ৩টি অর্থবর্ষে রাজ্যের বুকে ৬০ লক্ষেরও বেশি জমি-বাড়ির Registration সম্পন্ন হয়েছে। আর তার জেরে রাজ্যের কোষাগারেও বেশ মোটা টাকার আমদানি ঘটেছে। শুধুমাত্র বিগত অর্থবর্ষে এই খাতে রাজ্য সরকারের কোষাগারে এসেছে ৬,১৮৫ কোটি টাকা। জমি-বাড়ি Registration’র ক্ষেত্রে Stamp Duty-তে ২ শতাংশ এই ছাড় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বজায় ছিল। কিন্তু গতকাল থেকেই তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন করে আর এই ছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। যার ফলে রাজ্যে(Bengal) কিছুটা হলেও বাড়তে চলেছে জমি থেকে বাড়ি মায় ফ্ল্যাট বা দোকানের দামও।   

Advertisement

২০২১-এর বাজেটে আবাসন ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদে সম্পত্তি Registration বা নথিভুক্তির জন্য Stamp Duty-তে ২% ছাড় ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কোনও এলাকার সম্পত্তির সরকারি দামও কমানো হয় ১০%। নবান্ন লিখিত ভাবে জানিয়েছে, ওই ছাড় দুটি ১ জুলাই থেকে আর কার্যকর থাকছে না। তবে এর প্রভাব রাজ্যের আবাসন শিল্পের ওপর সেভাবে পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা, এই সুবিধা চালুর সময় মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় ছিল। কার্যত তখনও আধা লকডাউন চলছিল দেশে। তার সরাসরি প্রভাব পড়ছিল আবাসন বিক্রিতে। তাতে রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির গতিও অনেকাংশে ধাক্কা খায়। এখন আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই সেই ছাড় চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন থাকছে না বলেই নবান্নের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। যদিও রাজ্যের বেশ কিছু মহল থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকদের একাংশও মনে করেছিলেন যে Stamp Duty’র ছাড় হয়তো মুখ্যমন্ত্রী ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করতে পারেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সেই পথে হাঁটা দিলেন না।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে Stamp Duty-তে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কারণে ব্যাপক হারে জমি-বাড়ি Registration হয়েছে। আর সেই কারণেই পর পর ৩ বছর ৬০ লক্ষের বেশি জমি-বাড়ি Registration’র রেকর্ড গড়েছে বাংলা। কোভিডের দরুণ দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাতেও জোর ধাক্কা খেয়েছিল আবাসন শিল্প। সেই পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী জমি-বাড়ি Registration’র ক্ষেত্রে Stamp Duty-তে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক ও যুগোপযোগী। তাঁর সেই সিদ্ধান্তের কারণেই ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যে ২০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮১৪টি জমি-বাড়ির Registration সম্পন্ন হয়। ২০২২-২৩ সালে ২২ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৭৫ এবং সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মোট ২০ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৪০টি Registration হয়। রাজ্যের আবাসন দফতর, ভূমি দফতর এবং নবান্নের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এর আগে কখনও টানা ৩ বছর গড়ে ২০ লক্ষের বেশি Registration’র রেকর্ড নেই এ রাজ্যের ক্ষেত্রে।   

রাজ্যের তথ্য-ভাণ্ডার অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ পর্যন্ত Registration’র সংখ্যা দাঁড়াত সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ থেকে ১৬ লক্ষ। কোভিডের সময় ২০২০-২১ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ১৩ লক্ষ ৯০ হাজারে। মুখ্যমন্ত্রী সেই মরা গাঙে আবারও জোয়ার আনেন। বাস্তবে দেখাও যাচ্ছে, Registration’র সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাজ্যের Stamp Duty বাবদ আয়ের পরিমাণও। নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, Stamp Duty-তে ছাড় দেওয়ার পরপরই রাজ্যে রেকর্ড হারে জমি-বাড়র Registration শুরু হয় এ রাজ্যে। যারা অনেকদিন ধরে সম্পত্তির Registration না করিয়ে বসেছিলেন, তাঁরাও ছাড়ের সুবিধা পেতে তড়িঘড়ি Registration করিয়ে নেন। প্রায় ৩ বছর যাবৎ এই ছাড় বলবৎ ছিল। কোভিড-পূর্ব পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে এরাজ্যে Registration’র হার যথেষ্ট ভালো। কোভিডের আগের তুলনায় বছরে অন্তত ৫ লক্ষ Registration বেড়েছে। মানুষের মধ্যে জমিবাড়ি কেনার আগ্রহ বেড়েছে। আবাসন শিল্পেও পড়েছে এর ইতিবাচক প্রভাব।

Advertisement
Tags :
Advertisement