মেটিয়াবুরুজে ব্যবসায়ীর ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করল পুলিশ, ধৃত ৬
নিজস্ব প্রতিনিধি : বিহার থেকে আসা এক বস্ত্র ব্যবসায়ী মেটিয়াবুরুজে ট্যাক্সি চেপে হাওড়া থেকে যাওয়ার পথে তার কাছ থেকে নগর ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা লুট করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি(CCTV) ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে কলকাতা পুলিশ। একে একে গ্রেপ্তার হয় ফারহান জামান আনসারী , ফৈজাম আহমেদ, মোহাম্মদ শাহিন এবং বাদশা। এর আগে গ্রেপ্তার হয় আনসারী নামে আরো এক দুষ্কৃতী। ধৃতদের কাছ থেকে লুঠ হওয়া এক লক্ষ দুই হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় আহমেদ নামে আরো এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃত ৬ দুষ্কৃতিকে রবিবার আলিপুর আদালতে(Alipur Court) পেশ করলে বিচারপতি ধৃতদের আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত তদন্তের স্বার্থে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,হাওড়া থেকে ট্যাক্সি নিয়ে মেটিবুরুজে(Metiabruz) ব্যবসায়ের জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন এক ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে ছিলেন আরও চারজন। আক্রা রোডে ‘ন্যাশনাল আই কেয়ার’ হাসপাতালের সামনে ট্যাক্সি আসতেই পথ আটকে দাঁড়ান চারজন দুষ্কৃতী। এরপরেই তারা ট্যাক্সিতে থাকা চারজনকে হুমকি দেওয়া শুরু করে। শুধু তাই নয় ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
শনিবার বিকেলে হাওড়া থেকে ট্যাক্সি নিয়ে মেটিবুরুজে ব্যবসায়ের জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন ৩৭ বছরের রামকুমার রায়। তাঁর সঙ্গে ছিল আরও চারজন। ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মেটিবুরুজ হাটে যাওয়ার পথে আচমকাই তাদের ট্যাক্সি আটকায় চারজন দুষ্কৃতী। এরপর তাদেরকে হুমকি দেওয়া শুরু করে। ভয় পেয়ে রামকুমারের সঙ্গীরা ট্যাক্সি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। এরপরেই ব্যবসার জন্য আনা টাকা রামকুমারের কাছ থেকে ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রায় তিন লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, রামকুমার হলেন বিহারের বাসিন্দা। তিনি মেটিবুরুজে আসছিলেন ব্যবসার জিনিস কিনতে। আর সেইসময় ঘটে এমন অঘটন। তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একজনকে আটক করে পুলিশ। এরপর একে একে অন্যান্য দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে। উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়ার টাকার বেশ কিছু অংশ।