OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

ভোটের মুখে আবারও বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র পদ্মশিবিরের

ব্যাঙ্কের ‘জোন’ পুনর্বিন্যাসের মোড়কে বঙ্গভঙ্গের উদ্দেশ্য সফল না হয়, তার জন্য ব্যাঙ্কের কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন।
09:55 AM Feb 01, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিই গিয়েছিল বিজেপির(BJP) দখলে। আবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেখানকার ৫৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিই গিয়েছিল পদ্মের ঝুলিতে। সেই নির্বাচনের আগে থেকেই গেরুয়া শিবির থেকে বাংলা ভাগের উস্কানি দেওয়া শুরু হয়েছিল। কখনও পৃথক গোর্খাল্যান্ড, কখনও পৃথক কামতাপুর, কখনও গ্রেটার কোচবিহার তো কখনও পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে মুখ খুলছিলেন বিজেপির সাংসদ থেকে নেতারা। একুশের ভোটের পর সেই তালিকায় নাম ওঠে উত্তরের একের পর এক বিজেপি বিধায়কদের। এমনকি সেই সময় দক্ষিণবঙ্গের বুকেও পৃথক রাঢ়ভূম, মানভূম, জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি তুলতে শুরু করেন পদ্ম শিবিরের সাংসদ থেকে বিধায়কেরা। এখন যখন ২৪’র ভোট(General Election 2024) দুয়ারে কড়া নাড়ছে তখন আবারও বাংলাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার ব্লুপ্রিন্ট সামনে নিয়ে আসছে পদ্মশিবির। আর সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ব্যাঙ্কের জোর ভাগের তত্ত্ব সামনে আসায়।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রশাসনিক গঠন পুনর্বিন্যাসের যে সমীকরণ করছে তাতে বঙ্গভঙ্গের অভিসন্ধি রীতিমত প্রকট। কেননা সেখানে বাংলাকে দুটুকরো করে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে সরাসরি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রতিবেশী রাজ্য অসমের হাতে। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হল Bank of Baroda। এতদিন তারা বাংলার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে এসেছে Kolkata Zone থেকে। শুধু বাংলা নয়, Kolkata Zone’র আওতায় রয়েছে সিকিম, আন্দামান ও নিকোবরের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য। এই জোনের আওতায় মোট ৪৩১টি শাখা। ব্যবসার সুবিধার্থে এই সমগ্র অঞ্চলটিকে সাতটি Regional অফিসে ভাগ করা হয়েছে। সম্প্রতি এই ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, Kolkata Zone থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যকে। তার জন্য নতুন করে গড়ে তোলা হবে North East State Zone। আর তার হেড কোয়ার্টার বা সদর দফতর হবে গুয়াহাটিতে। আশ্চর্যের বিষয় হল, নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, Kolkata Zone থেকে যে ব্যবসা চালানো হবে, সেই তালিকায় থাকবে শুধু দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির নিয়ন্ত্রক হবে গুয়াহাটি। অর্থাৎ, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে Silliguri Region-কে।

এই বিষয়টি নজরে আসায় স্তম্ভিত ব্যাঙ্ক কর্মীরা। কোন যুক্তিতে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। কোনওভাবেই যাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ‘জোন’ পুনর্বিন্যাসের মোড়কে বঙ্গভঙ্গের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল না হয়, তার জন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হয়েছেন। কেননা মমতাই একমাত্র নেত্রী যিনি প্রকাশ্যে বার বার এই বঙ্গবঙ্গের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যিনি বার বার জানিয়েছেন, জীবন থাকতে তিনি বাংলা ভাগ হতে দেবেন না। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগামী ১ এপ্রিল থেকেই Bank of Baroda তাঁদের নয়া নিয়ম কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ দেশে সেই সময় ২৪’র ভোট শুরু হয়ে যাবে। তার মধ্যেই এই ব্যবস্থা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত কার্যত বুঝিয়ে দিচ্ছে, উত্তরবঙ্গের যে জমি বিজেপির হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে সেই জমি যাতে ২৪’র ভোটে আবারও দখলে আসে তার জন্য ফের বিচ্ছিন্নতাবাদের সুড়সুড়ি দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইছে পদ্মশিবির। আর তাই Bank of Baroda’র তরফ থেকে নয়া নির্দেশিকাও জারি হয়ে গিয়েছে। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্ত যাতে ঠেকানো যায়, তাই এই ব্যাঙ্কের কর্মী থেকে আধিকারিকেরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন।  

এই প্রসঙ্গে All India Bank Employees Association’র সর্বভারতীয় সভাপতি এবং Bank of Baroda Employees Union’র সভাপতি রাজেন নাগর জানিয়েছেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আর্জি জানিয়েছি। কারণ, এই পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক। কেন মুর্শিদাবাদ সহ উত্তরের ন’টি জেলা বিজেপি শাসিত অসম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে? এই সিদ্ধান্ত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলার জোনগুলিকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য। আমাদের আশঙ্কা, এভাবে ভবিষ্যতে বাংলার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। এতে উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ মার খেতে বাধ্য এবং ব্যাঙ্কের ব্যবসাও কমবে। এই সিদ্ধান্ত বাংলার সঙ্গে শত্রুতা ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, এর ফলে সুবিধা হবে শুধুই বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির। তাদের আর্থিক বৃদ্ধি হবে। আর তার দাম চোকাতে হবে বাংলাকে। আজ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বাংলার বিভাজন করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। আগামী কাল সবক’টি ব্যাঙ্ককে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে যে বাধ্য করা হবে না, সেই গ্যারান্টি কে দেবে? আর তারপর কী হবে? চূড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত? আমরা এখনই এর নিষ্পত্তি চাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই আর্জিই জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পথে যেতেও বাধ্য হব।’

Tags :
All India Bank Employees AssociationBank of barodaBank of Baroda Employees Union.BJPGeneral Election 2024Kolkata ZoneMamata BanerjeeNarendra modinorth bengalNorth East State ZoneSilliguri Region
Next Article