OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

বাড়ি তৈরির টাকা না পাঠিয়ে বাংলাকে নতুন করে প্রায় ৪ লক্ষ আবাসের বরাত দিল কেন্দ্র

কেন্দ্র সরকার চিঠি পাঠিয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত দফতরকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগের ১১ লক্ষের সঙ্গে আরও ৩ লক্ষ ৭০ হাজার আবাসের অনুমোদন দেওয়া হল।
10:11 AM Jun 29, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রে কী তুঘলকি সরকার চলছে! এই প্রশ্নটা এখন ঘুরছে নবান্নের(Nabanna) অন্দরে। কেননা কেন্দ্র সরকার চিঠি পাঠিয়েছে বাংলার(Bengal) পঞ্চায়েত দফতরকে(Panchayat Department)। সেই চিঠিতে বলে দেওয়া হয়েছে, আগের ১১ লক্ষের সঙ্গে আরও ৩ লক্ষ ৭০ হাজার আবাসের অনুমোদন দেওয়া হল। ফলে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য বাংলার মোট অনুমোদিত আবাসের সংখ্যা হল ১৪ লক্ষ ৭০ হাজার। অথচ এই প্রায় ১৫ লক্ষ বাড়ি বানাবার টাকা কোথা থেকে আসবে সেটা একবারও জানানো হয়নি ওই চিঠিতে। এমনকি আগের ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা কবে আসবে সে বিষয়েও কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। তাই চিঠির কথা শুনে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি রাজ্যের প্রশাসনিক মহলেও। সকলের একটাই প্রশ্ন, ‘এই অনুমোদনের মানে কী?’ নজরে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা(PMGAY)।

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলার বুকে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার জন্য রাজ্যজুড়ে যাচাই প্রক্রিয়া চালিয়ে ৩৩ লক্ষ পরিবারের নাম তোলা হয় Permanent Waiting List-এ। এর মধ্যে থেকে সেই সময় ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল কেন্দ্রের আবাস প্রকল্পের জন্য বাড়ির টাকা পেতে। কিন্তু গত বছরে সেই ১১ লক্ষ পরিবারের বাড়ি নির্মাণের জন্য ১ টাকাও ছাড়েনি কেন্দ্র। তাঁদের শুধু অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পে এই রাজ্যে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। তাই যতদিন না দুর্নীতি মুক্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে ততদিন টাকা পাঠানো বন্ধ থাকবে। যদিও এই দুর্নীতির প্রশ্নে তদন্তের জন্য কেন্দ্র সরকার বহু প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। কিন্তু কোনও দলই কোনও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরতে পারেনি। কিন্তু টাকাও আসেনি। এর জেরেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যে কেন্দ্র যদি ওই ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরির টাকা দেয় তো ভাল, নাহলে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই ওই ১১ লক্ষ মানুষকে তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া শুরু করে দেবে রাজ্য সরকারই।

নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী মাসেই নয়াদিল্লিতে প্রতিটি রাজ্যকে নিয়ে বসছে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের Executive Committee’র বৈঠক। সেখানে বাংলার আবাসের প্রাপ্য টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হবে। কেননা রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় নতুন করে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়ি তৈরির ‘ফরমান’ জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। অথচ সেই ৩ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়ি তৈরির টাকা কবে আসবে না আসবে সেই নিয়ে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি। একই সঙ্গে চিঠিতে যেভাবে বলা হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে, সেই বাড়ি নির্মাণের টাকা নিয়ে কিন্তু কোনও কথা বলা হয়নি। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পোর্টালটিও বাংলার জন্য এখনও বন্ধ। অথচ এই পোর্টালের মাধ্যমেই বাকি ১৮ লক্ষ মানুষের নাম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বাছাই হবে।

Tags :
bengalMamata BanerjeeNabannaPanchayat DepartmentPermanent Waiting ListPMGAY
Next Article