OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

মোদির কোপে বাংলার মা ও শিশুর গ্রাস, বরাদ্দ প্রাপ্যের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র

বাংলার মা ও শিশুদের খাবারে কোপ বসালো মোদি সরকার। মা-শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য খাতে বাংলার প্রাপ্য ৯৯৪ কোটি টাকা। এল মাত্র ৩৩৭ কোটি টাকা।
10:06 AM Dec 02, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভার হাত কিছুতেই ভুলতে পারছে না পদ্মশিবির। উপরন্তু যত দিন গড়াচ্ছে ততই বাংলায় পায়ের নীচের মাটি হারিয়ে চলেছে বিজেপি(BJP)। পরিস্থিতি এমনই যে খোদ বাংলা(Bengal) থেকে নির্বাচিত বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদরা এখন প্রকাশ্যেই বলে চলেছেন যে ২৪’র ভোট যুদ্ধে বাংলা থেকে ১টিও আসন পাবে না বিজেপি। এই অবস্থায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে না নেমে গেরুয়া শিবির কার্যত এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যাতে করে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার এবং বিজেপি উভয়েই বাংলার আমজনতার রোষানলে পড়ে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রেখে মোদি সরকার যে অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকেও এবার ছাড়িয়ে গেল মোদি সরকারেরই অপর একটি সিদ্ধান্ত। এবার বাংলার মা ও শিশুদের খাবারে(Food for Mother and Children) কোপ বসালো মোদি সরকার। রাজ্যের মা-শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য খাতে বাংলার প্রাপ্য ৯৯৪ কোটি টাকা। অথচ মোদি সরকার সেখানে বরাদ্দ করেছে মাত্র ৩৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রাপ্যের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র।

শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় বাংলার নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির(ICDS Center) মাধ্যমে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও প্রসূতি মায়েদের নিয়মিত পুষ্টিযুক্ত খাবার সরবরাহ করা হয়। এই খাতেই রাজ্যের প্রাপ্য ছেঁটে ফেলার পাশাপাশি চলতি অর্থবর্ষে নির্ধারিত বরাদ্দের অনেক কম টাকা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ কমানোর প্রতিবাদে এবং দ্রুত বকেয়া টাকা ছাড়ার দাবিতে বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। রাজ্যের ছ’মাস থেকে ছ’বছর পর্যন্ত বয়সের প্রায় ৭০ লক্ষ শিশু এবং ১২ লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও প্রসূতি প্রতিদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পুষ্টিযুক্ত খাবার পান। আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে এমন উপভোক্তার সংখ্যার বিচারে বাংলার জন্য ৯৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়া উচিত। রাজ্যের তরফে তা যথা সময়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রকে। সেই অঙ্ক কাটছাঁট করে রাজ্যকে চলতি অর্থবর্ষে ৬৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। অথচ এ পর্যন্ত মাত্র ৩৩৭ কোটি টাকা ছেড়েছে তারা, যা প্রাপ্যের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র।   

সূত্রের খবর, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি পরিচালনায় নিযুক্ত সুপারভাইজার, ডিপিও এবং সিডিপিওদের বেতন বাবদ অর্থ দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার। বর্তমানে ৩,৯২৪ জন সুপারভাইজার, ২৫৭ জন সিডিপিও এবং ২৩ জন ডিপিও বাংলায় কাজ করছেন। গত আগস্ট মাস থেকে এই আধিকারিকদের বেতন খাতে টাকা দেওয়াও বন্ধ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকার এদের কাউকেই ছেঁটে ফেলে দেয়নি। বরঞ্চ রাজ্যের কোষাগার থেকেই তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা হচ্ছে, মিড ডে মিল প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র। সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যে সরকার মিড ডে মিল নিয়ে এত প্রশ্ন তুলছে, তারাই আবার বাংলার মা-শিশুর পুষ্টির টাকা আটকে রাখছে। তাই তৃণমূলের দাবি, ‘কেন্দ্রের এই দ্বিচারিতার জবাব মানুষ যথা সময়েই দেবে।’

Tags :
bengalBJPFood for Mother and ChildrenICDS CenterNarendra modi
Next Article