ভিডিও বার্তায় ফের সলমানকে হত্যার হুমকি, রাজস্থান থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি: রেহাই নেই সুপারস্টার সলমান খানের। ১৪ এপ্রিল তাঁর বাড়িতে গুলিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাঁদের মধ্যে একজন জেলেই আত্মহত্যা করেছেন। আর তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় যাতে তাঁকে জড়ানো না হয়, সেই নিয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন সলমান খান। তার থেকে কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছেন সলমান খান। সে যাই হোক, রবিবার সলমান খানের বাড়িতে গুলিকাণ্ডের মামলায় নতুন তথ্য খুঁজে পেলেন মুম্বই পুলিশ। ১৪ এপ্রিল কাকভোরে সলমনের বাড়িতে পরপর ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতীরা পালায় সেই ঘটনাস্থল থেকে। এরপরই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদের সনাক্ত করেন মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বিভিন্ন জায়গা থেকে দোষী দের গ্রেফতার করা হয়। তবে সবাই কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোক, তাও পরে প্রমাণিত হয়। সলমানকে মারার ছক অনেকদিন ধরেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের। দিন কয়েক আগে পুলিশি জেরায় পড়েছিলেন সলমান। তাঁকে প্রায় ১৫০ টি প্রশ্ন করা হয়েছিল।
যেখানে সলমান জানান, গুলি বর্ষণের আওয়াজে সেদিন অভিনেতার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ এই ঘটনায় নতুন মামলা দায়ের করেছে। অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগে রাজস্থান থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অভিযুক্তের নাম বানোয়ারিলাল লাতুরলাল গুজর, রাজস্থানের বুন্দির বাসিন্দা। তিনি সলমানকে খুন করতে চলেছেন বলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন অভিযুক্ত। মামলার তথ্য দিতে গিয়ে পুলিশ অফিসার আরও জানিয়েছেন, ২৭ বছর বয়সী বনোয়ারিলাল লাতুরলাল গুজর তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন যাতে তিনি বলেছিলেন, 'আমার সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার এবং অন্যরা এই চক্রের সদস্য এবং আমি সালমান খানকে হত্যা করতে যাচ্ছি কারণ তিনি এখনও ক্ষমা চাননি। অভিযুক্ত রাজস্থানের একটি হাইওয়েতে একটি ভিডিও তৈরি করে তার চ্যানেলে আপলোড করে। এরপরই এই মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি দলকে তদন্তের জন্য রাজস্থানে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইবার পুলিশ বলেন, “আমরা তদন্ত করছি অভিযুক্ত গুজরের পূর্বে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আছে কি না। ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধারা 506(2) (অপরাধী ভীতি প্রদর্শনের শাস্তি) এবং তথ্য প্রযুক্তি (IT) আইনের বিধান। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল ভোরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় সলমান খানের বাসার বাইরে দুই মোটরসাইকেল আরোহী কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। ওই মামলায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন অনুজ থাপন ১ মে পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি পৃথক মামলায়, নভি মুম্বাই পুলিশ সালমান খানকে আক্রমণ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে হরিয়ানার বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার গ্যাংয়ের একজন কথিত সদস্য সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই ঘটনার পর সলমান খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসারকে হত্যার পরেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নজরে পড়েন। কৃষ্ণসার বিষ্ণোইদের ভগবান তুল্য। তাই যতক্ষন তিনি কৃষ্ণসার হত্যার জন্যে বিষ্ণোইদের কাছে ক্ষমা চাইবেন ততক্ষণ তাঁর উপর আক্রমণ চালিয়েই যাবে বলে লরেন্স বিষ্ণোই জানিয়েছেন।