হাওড়ায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় নামল এনডিআরএফ, চলছে সর্তকতা মাইকিং প্রচার
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবার দুপুরের পর থেকেই শক্তি বাড়াবে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। হাওড়া ,হুগলি ,চব্বিশ পরগনা ,মেদিনীপুর সহ উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি জেলা এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই হাওড়া প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। হাওড়া শ্যামপুর(Shyampur) এক ও দু নম্বর ব্লক আয়লার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই ক্ষতি পূরণ করার পর কয়েক বছরের মধ্যেই আবার এক ঝড় রিমাল আছড়ে পড়তে পারে হাওড়ার উপকূলবর্তী এলাকায়। প্রশাসনিক তৎপরতা তাই তুঙ্গে। মোতায়েন রাখা হয়েছে এন ডি আর এফ। এন ডি আর এফ ইতিমধ্যেই এক প্রস্থ নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছে।
এছাড়া এই দুই ব্লকে চলছে মাইকিং। মৎস্যজীবীদের নদীতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে দুই ব্লক প্রশাসন সূত্রে। অন্যদিকে,ঘূর্ণি ঝড় রিমালের কারণে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সেরকমই শান্তিপুরের সমস্ত ফেরিঘাট(Ferighat) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তাই শান্তিপুরের গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট এবং নৃসিংহপুর ফেরিঘাট ও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৩দিন। যদিও গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নৃসিংহপুর ফেরিঘাট চালু রাখা হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে চলছে মাইকিং, এবং সকলকে সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে। যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে ততক্ষণাৎ ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ঘাট বন্ধ হলে অনেক অসুবিধে হবে, তবে গুপ্তিপাড়া ঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই ঘুরতে হচ্ছে তাই নৃসিংহপুর ঘাটে বাড়ছে যাত্রী পরিষেবার চাপ। যদিও আই বিষয়ে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো জানান, ইতিমধ্যে সরকারের তরফে পঞ্চায়েতে চিঠি এসেছে তার বন্ধ রাখার জন্য এই মোতাবেক পঞ্চায়েত সমস্ত কাজ শুরু করেছে যাতে কোন রকম ভাবে মানুষের অসুবিধা না হয়। তবে পঞ্চায়েতের তরফে প্রচার ও চালানো হবে এই ঘাট বন্ধের ব্যাপারে এবং সকলকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে যে কোন অসুবিধে হলে পঞ্চায়েত সমস্ত সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ ক্যাম্প করা হচ্ছে নৃসিংহপুর ফেরিঘাটে।