নবদ্বীপ ধামেশ্বর মহাপ্রভুর মন্দিরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে জামাই রূপে বরণ করা হয়
নিজস্ব প্রতিনিধি,নবদ্বীপ: আজ জামাইষষ্ঠী। বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর বংশের জামাতা ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। বুধবার সকাল থেকে নদীয়ার নবদ্বীপ(Nabwadip) ধামেশ্বর মহাপ্রভুর মন্দিরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে বিভিন্ন আচার মেনে জামাই হিসাবে বরণ করার রীতি শুরু হয়ে গিয়েছে।জামাইষষ্ঠীর দিন ভোর থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জামাই হিসাবে বরণ করা হয় মহাপ্রভুকে। এদিন নতুন ধুতি পাঞ্জাবিতে সাজানো হয় তাঁকে। পড়ানো হয় ফুলের মালা। গায়ে দেওয়া হয় সুগন্ধি।
মহাপ্রভুকে নিয়ে এই মহা সমারোহের আয়োজন দেখতে প্রচুর দর্শনার্থীরা ভিড় করেন মহাপ্রভু মন্দিরে। মধ্যাহ্নে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় শাক, থোড়, মোচা, শুক্ত, রকমারি তরকারি, ডাল, ভাজা, ছানার ধোকা, পনির ডালনা, পোস্ত। এছাড়াও বিশেষ ভোগ হিসেবে এদিন আমের রস ক্ষীরের সঙ্গে মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় জামাইষষ্ঠী(Jamaisasthi) স্পেশাল আম ও নবদ্বীপের দই। সব শেষে দেওয়া হয় মসলা ও সাজানো পান।জামাইষষ্ঠীর দিন প্রতি পদে সাজিয়ে দেওয়া হয় গৃহত্যাগী শ্রীচৈতন্যদেব গোস্বামীদের ‘জামাইরাজা'(Jamairaja)। গোটা দিনের পুজোর মধ্যেই প্রকাশ পায় জামাই আদর। ‘বিষ্ণুপ্রিয়া প্রাণধন’ সারা নবদ্বীপের মানুষের চোখে জামাই হিসেবেই আদর পেয়ে থাকেন। নবদ্বীপের মহাপ্রভু(Mahaprabhu) মন্দিরে কয়েকশো বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি।
মহাপ্রভুকে নতুন ধুতি-পাঞ্জাবিতে সাজানো হয় জামাই বেশে। পরানো হয় রজনীগন্ধা, গোলাপের মালা। গায়ে আতর। রুপোর রেকাবিতে ছানা, মিষ্টি দেওয়া হয়। সন্ধেবেলা নাটমন্দিরে বিশেষ কীর্তনের আয়োজন করা হয়।উজ্জ্বল আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। রাত ৯ টায় শয়ন ভোগ দেওয়া হয়। ঘিয়ের লুচি, মালপোয়া আর রাবড়ি। সঙ্গে আবার খিলি করে সাজানো হয় সুগন্ধি পান। দিনভর চলে জামাই আপ্যায়ন।