সঠিক সময়ে বিবাহ না হওয়ায় জামাইষষ্ঠী নিয়ে আক্ষেপ শ্রমজীবী যুবকদের
নিজস্ব প্রতিনিধি,নদিয়া:শিক্ষিত হয়েও কপালে জোটেনি চাকরি।তাই টোটো চালিয়ে এখন বাকি ভবিষ্যৎ। কে দেবে মেয়ে? সবাইতো চায় চাকরিজীবী পাত্র। জামাইষষ্ঠীর আগে আক্ষেপের সুর বয়স প্রাপ্ত একশ্রেণীর যুবকদের মুখে। সামনেই জামাই ষষ্ঠী(Jamaisasthi), আম- কাঠাল লিচু সহ নতুন বস্ত্র নিয়ে জামাই ও মেয়ে ষষ্ঠী করতে যায় যার যার শশুর বাড়িতে। আর সারা বছরে যেমন তেমন হলেও এই দিনটাই জামায়ের প্রতি আদর থাকে এক অন্যরকম। থাকে বাড়তি পাওনা, ঘুরতে যাওয়া, পরিবার-পরিজন এক জায়গায় হয়ে কত না গল্প। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে থাকে হরেক রকম সুস্বাদু খাবার। বিভিন্ন ধরনের মাছ মাংস সহ সবই যেন একে অপরকে টেক্কা দেয়। এবার তারি আক্ষেপের সুর শুনতে পাওয়া গেল নয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বয়স প্রাপ্ত যুবকদের মুখ থেকে।
কেউ বলছেন পড়াশোনা অনেকটাই করেছি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পায়নি। অবশেষে টোটো (TOTO)চালিয়ে এখন বাকি ভবিষ্যৎ তৈরি করার চেষ্টা। পাত্রী খুঁজতে গেলে প্রত্যেক পিতা মাতা চাইছেন সুযোগ্য পাত্র, অর্থাৎ চাকরিজীবী। তাহলে কি শ্রমজীবী ছেলেদের কপালে মেয়ে জুটবে না। জামাইষষ্ঠীর দিন এই টোটো গাড়ি করেই জামাইরা তাদের স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যায়, খারাপ লাগলেও সবটাই মেনে নিতে হয়। মনে মনে আকাঙ্ক্ষা জাগে তাদেরও যদি সময় মতো বিবাহ হত তাহলে এই দিনটা প্রত্যেকের মতই হেসে খেলে আনন্দে কাটতো, কিন্তু ভাগ্যে নেই। চাকরি যে করি না। তবে যত দিন যাচ্ছে ততই বেকারত্ব সংখ্যা বাড়ছে। হাজারে, হাতেগোনা কম যুবকরা চাকরি করে।
বয়স যেমনই হোক না কেন ছেলে চাকরি করলেই হবে। পাত্রীর পরিবার সেটাকেই লক্ষ্য করে তাদের মেয়েদের বিবাহ ঠিক করে। চার হাত এক করে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই শ্রমজীবী যুবকদের কথাই তাদের কি আর বিয়ে হবে না। এই দ্বিধায় এবার সরকারের কাছে তাদের একটাই আবেদন যারা শিক্ষিত হয়েও এখনো বেকারত্ব নিয়ে জীবন যাপন করছে, তাদের দিকে একটু মুখ তুলে তাকাক সরকার বাহাদুর।