জামাইষষ্ঠীর আগে উজবেকিস্তানে পাড়ি দিল কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ার মথুরাপুরের আম
নিজস্ব প্রতিনিধি,নদিয়া: নদিয়ার মাটি প্রধানত বিখ্যাত শ্রীচৈতন্যদেবের বিশ্বজোড়া হরিনামের প্রেমের বাণী প্রচার করার জন্য। সময় যত এগিয়েছি গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে তত জল। বর্তমানে আন্ত-বাণিজ্যিক সম্পর্কে কখনো নদিয়ার লিচু পৌঁছে যাচ্ছে আফগানিস্তানে তো কখনো আবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের(Krishnaganj) হিমসাগর আম চলে যাচ্ছে উজবেকিস্তানে(Ujbekistan)। এলাকার এক স্থানীয় আম চাষি বিদ্যুৎ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, রিসার্চ এগ্রো বায়ো কোম্পানি উজবেকিস্তানের একটি কোম্পানিকে এনেছিল কৃষ্ণগঞ্জ মাজদিয়ার মধুরাপুরের(Madhurapur) আম বাগানে । আম বাগানে এসে তারা নির্দিষ্ট ১০ টি আমের গাছকে(Mango Tree) বায়ো পেস্টিসাইডস পদ্ধতিতে ফলনের দিকে নজর দেয়।
তারা বলেছিল আমের ফলন যেমনই হোক না কেন তারা সমস্ত আম নিয়ে যাবে। কোনরকম ভাবেই কীটনাশক ঔষধ আমের ফলনে ব্যবহার করা যাবে না ।অনাবৃষ্টি এবং প্রখর দাবদাহে অন্য বাড়ের তুলনায় এবারে আমের ফলন যথেষ্ট কম হলেও এই দশটি গাছে আমের মোটামুটি ভালই ফলন হয়েছে । শুধু তাই নয় আম চাষি আরো জানান, বাজার কেজিপ্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে হিমসাগর আম । সেখানে এই হিমসাগর আম ডবল দাম দিয়ে তারা সমস্ত আম কিনে নিয়েছেন । অর্থাৎ কেজি প্রতি হিমসাগর আম ১২০ টাকা দামে তারা কিনে নিয়েছেন ।
একদিকে যেমন আম চাষীরা ডবল লাভের মুখ দেখছেন তেমনি নদিয়ার আম বিদেশের মাটিতে বিদেশী মানুষদের রসনার তৃপ্তি করছে। এটি যথেষ্ট গর্বের বিষয় বলে তারা মনে করছেন। জৈব পদ্ধতিতে আম চাষ করে আরও বেশি পরিমাণে মুনাফা লাভের পরামর্শ দেন তাঁরা । আম চাষীদের কাছে আরও সুখবরের বার্তা দেন উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ীরা । আগামী বছর অনেক বাগানে এসে তারা এই ভাবেই আম কিনবেন । বিদেশে আম যাওয়াই খুশি আমচাষী সহ জেলার বাসিন্দারা । অধিক মুনাফা হাসি ফুটিয়েছে আম চাষিদের মুখে।