For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

দোল পূর্ণিমায় এবার জমজমাট নদিয়ার সতী মায়ের মেলা, ভক্তদের ভিড় মন্দির চত্বরে

01:58 PM Mar 25, 2024 IST | Subrata Roy
দোল পূর্ণিমায় এবার জমজমাট নদিয়ার সতী মায়ের মেলা  ভক্তদের ভিড় মন্দির চত্বরে
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দোল উৎসব উদযাপন । চিরাচরিত প্রথা মেনে এবারও দোল পূর্ণিমার দিন নদিয়াতে সতী মায়ের(Sati Maa) পুজো হচ্ছে । আর শতাব্দী প্রাচীন দোলযাত্রার এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে নজর কাড়ে সতী মায়ের দোলমেলা । বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মেলায় আসেন । ভক্তদের দাবি, গঙ্গাসাগর মেলা, জয়দেবের মেলার থেকে কোনও অংশে কম ভিড় হয় না এই সতী মায়ের মেলায় ।নদিয়ার কল্যাণীর ঘোষপাড়ায় বিখ্যাত সতী মায়ের মন্দির ।

Advertisement

সতী মা বৈষ্ণবদের কর্তাভজা সম্প্রদায়ের মানবী দেবী বলে পরিচিত । দোল পূর্ণিমার দিন মায়ের পুজোকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গনে ভক্তদের ভিড় । লাইনে দাঁড়িয়ে মায়ের পুজো দিচ্ছেন, অনেকের আবার দন্ডি কাটছে । পুকুরে ডুব দিচ্ছেন অনেকে । প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, পুকুরে স্নান করে ডালিম গাছে ঢিল বাঁধলে মনোস্কামণা পূর্ণ হয় । সেই ছবিও দেখা গেল এদিন । আর পুজো উপলক্ষে এবছরও বিরাট মেলা বসেছে । একসময় প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে সতীমায়ের মেলা বসত । বর্তমানে ৩০ একর এলাকায় মেলা বসে ।

Advertisement

মেলা পরিচালনা করে কল্যাণী পুরসভা ।সতী মা ও মেলাকে কেন্দ্র করে এক ইতিহাস আছে । কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রবর্তক হলেন নদিয়ার ঘোষপাড়ার(Ghoshpara) আউলচাঁদ । ভক্তরা তাঁকে গোরাচাঁদ নামে ডাকতেন । এমনকী, শ্রীচৈতন্যের অবতার হিসেবেও মানতেন । এই ঘোষপাড়ারই বাসিন্দা ছিলেন রামশরণ পাল। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ছিল সরস্বতী। কথিত আছে মরণাপন্ন সরস্বতীর সারা গায়ে পুকুর থেকে মাটি এনে লেপে দিয়েছিলেন আউলচাঁদ। তাতেই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন সরস্বতী। পরবর্তীকালে বাড়ির ডালিম গাছের নীচে দীর্ঘ সাধনার পর তিনিই হয়ে ওঠেন সতী মা। আউলচাঁদের পর সতী মা হয়ে ওঠেন কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রধান। কথিত আছে, তিনি যে ডালিম গাছের নীচে বসে সাধনা করেছিলেন, সেই ডালিম গাছে ঢিল বাঁধলেই ভক্তদের ইচ্ছাপূরণ হয়। ঘোষপাড়ায় তাঁর নামাঙ্কিত মন্দির চত্বর এবং সমাধিক্ষেত্রে ভক্তরা গিয়ে পুজো দেন। পুজোর ডালিও মন্দির চত্বরেই একাধিক ব্যক্তি বিক্রি করেন।

ডালিতে ঢিলের জায়গায় দেওয়া থাকে সুতো বাঁধা মাটির ঘোড়া।মন্দিরের কাছেই রয়েছে পুকুর। সেই পুকুরে স্নান করে ভক্তদের মন্দিরে পৌঁছে ডালিম গাছে ঢিল বেঁধে দিতে হয়। তাতেই পূরণ হয় মনস্কামনা। আর, মনস্কামনা পূরণ হলে এসে ডালিম গাছ থেকে ঢিল খুলে ফেলতে হয়। এটাই সতী মায়ের মন্দিরের নিয়ম। এখানে নিত্যপুজোর পাশাপাশি, প্রতি শুক্রবার বিশেষ কীর্তনের আসর বসে। তবে এই মেলাকে কেন্দ্র করে বহু পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে নদীয়ার কল্যাণী(Kalyani ) ঘোষপাড়া সতী মায়ের মন্দির সংলগ্ন এলাকায় যদিও মেলা উপলক্ষে পুলিশি তৎপরতা ও রয়েছে চোখে পড়ার মত তবে দোল উৎসব এবং সতী মায়ের মেলা এ যেন নদীয়ার বুকে মহামিলন মেলা ।

Advertisement
Tags :
Advertisement