নলহাটিতে যুবকের মাথা থেঁতলানো ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য
নিজস্ব প্রতিনিধি, নলহাটি ও ভাতার:নলহাটিতে যুবকের মাথা থেঁতলানো ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার। ঘটনাটি বীরভূমের নলহাটি পৌরসভার(Nalhati Municipality) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল পল্লীর, একটি ঝোপঝাড় থেকে এক যুবকের মাথা থেঁতলানো ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এ খবর দেওয়া হয় নলহাটি থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে ওই মৃত দেহটি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ,মৃতদেহটি নলহাটি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল পল্লীর বাসিন্দা আমির চাঁদ শেখের । তাঁর ডাক নাম মতি শেখ । বয়স আনুমানিক ২৮ বছর ।পিতার নাম হীরা চাঁদ শেখ।মৃত মোতি শেখ(Moti Sk.) পেশায় একজন পোল্ট্রি মুরগির গাড়ির ড্রাইভার ছিল।
মৃত মতি শেখের মা জানান , মঙ্গলবার থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির লোকজন ভেবেছিল কাজের জন্য গাড়ি নিয়ে গেছেন পোল্ট্রি মুরগি আনতে।বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ খবর পায় তাদের ছেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে কি কারণে মতির এই অবস্থা হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা গেছে তাদের মধ্যে। মতির মা দাবি করেন তার ছেলে নেশা ভান করতো । হয়তো এই কারণে কে বা কারা মেরে ফেলে রেখেছে।মৃত মতি শেখের একটি ছেলে রয়েছে আট বছরের। এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে নলহাটির ছয় নম্বর ওয়ার্ডে।নলহাটি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানায় মৃতার মা তাদের ছেলেকে যে বা যারা মেরেছে তাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয় । অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের কাপশোড় গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেল এক স্কুল ছাত্র। বুধবার তার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ।
মঙ্গলবার বজ্রপাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের(Bhatar) কাপশোড় গ্রামে এক স্কুল ছাত্র (School Student)মারা যায়। নাম শেখ আবুল হায়াত, বয়স ১৪ বছর। বুধবার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।ঘটনায় ভাতারের কাপশোড় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।জানা গেছে স্কুল মাঠে গিয়েছিল বাড়ির গরু আনতে। এরপর ওই স্কুল ছাত্র বাড়ি না ফেরার পরিবারের লোকজন তাকে যখন মাঠে খুঁজতে যায় তখন আহত অবস্থায় মাঠে পড়েছিল ওই স্কুল ছাত্র ।তাকে তড়িঘড়ি ভাতার ব্লক হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।মঙ্গলবার রাতেই ওই স্কুল ছাত্রর মৃতদেহ ভাতার থানার পুলিশ নিয়ে এসেছিলেন ভাতার থানায় ।বুধবার তার মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিশ।ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।