গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে সমর্থন করলেন নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন যে, বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাতে ইজরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সোমবার ( ২৪ ই জুন)নেসেট প্লেনাম অধিবেশন (বিরোধীদের তলব করা)চলাকালীন তিনি জানান, কোনকিছুই পরিবর্তন হয় নি, ইজরায়েল তাঁদের নীতিতে অনড়। তাঁদের লক্ষ্যে তাঁরা এগোচ্ছে।তবে বন্দি মুক্তির বিনিময়ে বাইডেন যে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব রেখেছিল তাতে ইজরায়েল সায় দেবে। কারণ তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি নেসেট কে আরও জানিয়েছেন যে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই যু্দ্ধ বন্ধ হবে না যতক্ষণ না ইজরায়েল তাঁদের সমস্ত বন্দিদের জীবিত অথবা আহত অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। বন্দিদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১২০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান যে, হামাস কে শেষ করা না পর্যন্ত তিনি থামবেন না। তবে দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা তাঁদের বাড়িতে নিরাপদে ফিরে আসতে পারে।
বাইডেন চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ রাখার জন্য একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইজরায়েলকে। এমনকী সেই প্রস্তাবও পাস ও হয়েছিল। তা স্বত্তেও গাজায় হামলা বন্ধ রাখে নি ইজরায়েল। তবে এতদিনে এই প্রথমবারের মত নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি এই যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করছেন।
এর আগে রবিবার(২৩ই জুন) গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎাকরে জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীরা পুরো দমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তবে এই লড়াই প্রায় শেষের মুখে। এতদিন ধরে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল সেনাবাহিনীরা, এবার যু্দ্ধের চরম পর্যায় এতদিনে শেষ হতে চলেছে। এই বিষয়ে তিনি আরও খোলসা করে জানিয়েছেন যে, যুদ্ধ শেষ হবে না। তবে এই যুদ্ধের তীব্রতা (চরম পর্যায়) শেষ হতে চলেছে। কেউ যদি ভাবে যুদ্ধ শেষ হবে তাহলে তা ভুল ধারণা।ইজারায়েলের লক্ষ্য হল গাজায় বন্দীদের ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে উৎখাত করা।
উল্লেখ্য, গাজা এখন মৃত্যুপুরী। টানা ৮ মাস হয়ে গেছে, ইজরায়েলের নারকীয় হত্যাকান্ড এখনও বন্ধ হয় নি। ইজরায়েলের আক্রমন থেকে রেহাই পায় নি ছোট্ট ছোট্ট শিশু ও নারীরা। স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, গির্জা, মসজিদও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকান্ড বন্ধ রাখে নি ইজরায়েল।