বন্ধ কারখানার অব্যবহৃত জমিতেই মাথা তুলবে নয়া শিল্প, নীতি রাজ্যের
নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের পুনারাবৃত্তি আর হবে না বাংলার(Bengal) বুকে। অন্তত বাংলার ক্ষমতায় যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার থাকবে। জমি আন্দোলনের হাত ধরে বাংলার ক্ষমতায় উঠে আসা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিলক্ষণ জানেন, জমির সঙ্গে কৃষকের আত্মিক সম্পর্কের কথা। জানেন গ্রাম সমাজব্যবস্থায় কৃষকের হাতে জমি থাকা বা না থাকার জেরে প্রভাবপ্রতিপত্তির কথা। সঙ্গে এটাও তিনি জানেন যে, দেশের আর্থসামাজিক পরিকাঠামো এখনও দাঁড়িয়ে আছে কৃষির ওপরেই। তাই যা কিছুই উন্নয়ন হোক না কেন, তা কৃষি ও কৃষক ব্যবস্থাকে ধ্বংস বা ক্ষতিসাধন না করেই করা হবে বংলার বুকে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নীতি। আর সেই নীতির জেরেই রাজ্যে নয়া শিল্পস্থাপনের(Setting New Industry) জন্য কৃষকদের জমি অধিগ্রহণের পরিবর্তে বন্ধ কলকারখানার জমি(Land of Closed Factories) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সেই নীতির বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ শুরু করল নবান্ন।
নবান্নের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজ্যে যে সব কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেগুলির জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলিকে নয়া শিল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। বিনিয়োগকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আবার অনেক সংস্থা শিল্পের জন্য যে পরিমাণ জমি নিয়েছিল, সেটার পুরোটা কাজে লাগাতে পারেনি। নয়া শিল্প গড়ে তোলার জন্য সেই জমিও ব্যবহার করা হবে। এই প্রথমবার বাংলায় এই রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তার ফলে রাজ্যের ল্যান্ডব্যাঙ্ক আরও বড় হবে। বেশি বিনিয়োগের সুযোগ মিলবে। আর শিল্প হলেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। রাজ্যে যাতে বিনিয়োগ আসে, তা নিশ্চিত করতে কোনও কসুর ছাড়ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেটার পথে যাতে জমি অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য গত এক বছরে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। গত কয়েক বছরে ন'টি শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। ওই ন'টি পার্কে শিল্প গড়ে তোলার জন্য মোট ১,৭৩৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এবার বন্ধ কলকারখানার জমি যাতে নয়া শিল্প নির্মাণের কাজে লাগে সেই দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।