এ রাজ্যে আর নয় কলেজ ভিত্তিক ভর্তি, ২২ জুন থেকেই Online Admission
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে(Higher Education Sector) অবশেষে এক বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে এ রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। চলতি বছর থেকেই এ রাজ্যে চিরতরে উঠে যেতে চলেছে কলেজ ভিত্তিক ভর্তির(College Based Admission) চিরাচরিত ব্যবস্থা। পরিবর্তে লাগু হচ্ছে Online Admission। এই বছর থেকেই রাজ্যের সব সাধারণ কলেজে কেন্দ্রীয় ভাবে Online Admission’র মাধ্যমেই ভর্তির নীতি চালু হয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত ২২ জুন থেকে সেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই নীতি লাগুর জেরে চলতি বছর থেকে আর কলেজগুলির হাতে ছাত্র ভর্তির মেধাতালিকা তৈরি নিয়ে কোনও ক্ষমতা থাকবে না। ফলে পিছনের দরজা দিয়ে প্রভাব কাটিয়ে বা ঘুষের বিনিময়ে কিংবা অন্য কোনও মাধ্যমে মেধাবী কাউকে ডিঙিয়ে অন্য কেউ আর ভর্তি হয়ে যেতে পারবে না। কলেজে কলেকে মনমতন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা বা পছন্দের ককেজে ভর্তির ক্ষেত্রে আর দুর্নীতি বাসা বেঁধে উঠতে পারবে না। সব থেকে বড় কথা শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির দাপট অনেকটাই কমে যাবে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট মিটলেই, নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে যাবে। আর তারপরেই প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি দেবে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর।
নবান্ন সূত্রেও জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জুন থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে স্নাতক স্তরে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতিও নিতে শুরু করছে শিক্ষা দফতর। অতীতে এ রাজ্যে কলেজে কলেজে ছাত্র ভর্তি নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগে উঠেছে। বারবার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। এর আগেও একাধিক বার কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ছাত্র ভর্তি করতে চাইলেও তা বাস্তবায়িত করে উঠতে পারেনি রাজ্য। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ছাত্র ভর্তিতে সবুজ সঙ্কেত এসেছে নবান্নের শীর্ষ মহল থেকে। ২২ জুন এই প্রক্রিয়া চালু হলে অবশেষে স্নাতকে Online Admission’র প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে এ রাজ্যে। এর আগেই এই নীতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে তা আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এখন জানা যাচ্ছে, রাজ্য জুড়ে একটি মাত্র পোর্টালের মাধ্যমেই আবেদন ও ভর্তি করা হবে। একটি পোর্টালের মাধ্যমেই যে কোনও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকস্তরে ভর্তির আবেদন করা যাবে। তবে আবেদন ও ভর্তির ফি কলেজ নয়, উচ্চশিক্ষা সংসদের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে। অর্থাৎ ভর্তির সময় যে ফি দিতে হয় তা কলেজে দিতে হবে না। সংসদের তহবিলে টাকা দিতে হবে। ফলে কলেজের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের কোনও সম্পর্ক থাকছে না। আবেদনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ভর্তি হতে পারবে পড়ুয়ারা।