ভোটার তালিকায় নাম নেই, ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ উগরে দিলেন স্বস্তিকা
নিজস্ব প্রতিনিধি: বরাবরই খুব সাহসী অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। টলিউড, বলিউড সব জায়গাতেই তাঁর রাজ চলে। এছাড়া কোনও বিষয় তাঁর পছন্দ নাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেই ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিনেত্রী। যাই হোক, আজ লোকসভা নির্বাচনের শেষদফার ভোট। সকাল থেকেই বাংলার ৫৭ টি আসনে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। এদিকে শনিবার সকাল থেকে বাংলার হাইলাইটেড উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতাতেও চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব।সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারাও তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। শনিবার সকাল থেকেই বুথমুখী হয়েছিলেন বাংলার তারকারা। রাজ-শুভশ্রী থেকে রঞ্জিত মল্লিক, কোয়েল মল্লিক, সৌরভ-দর্শনা, জিৎ-মোহনা, আবীর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ্তা, ঋতাভরী চক্রবর্তী সকলে ভোট দিতে দক্ষিণ কলকাতায় তাঁদের নিজেদের কেন্দ্রে জড়ো হয়েছিলেন।
রীতিমতো ভিড়ে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন এবং ভোট দেওয়ার পরে নীল রঙা আঙুল নিয়েও পোজ দিয়েছেন পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়। কিন্তু তাল কাটল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের ভোট দেওয়ার সময়। তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেন, তাঁর নামই নেই ভোটার তালিকায়। যদিও এরকম ঘটনা নিছক নতুন নয়। এর আগে বলিউড তারকা গহওর খানও ভোট দিতে গিয়ে দেখতে পান তাঁর নাম নেই ভোটার তালিকায়। ক্ষুব্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান তিনি। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, তারকাদের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটছে। আর ভোট শুরুর পর্ব থেকেই সংবাদমাধ্যম দখল করছে এই সমস্ত অনৈতিক খবরগুলি। যাতে প্রশ্ন উঠছে, ভোটকর্মীদের উপরেও। কেন এই ভুল হচ্ছে বারবার। এদিন ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরে রাস্তায় দাঁড়িয়েই ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিষয়টি জানালেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
View this post on Instagram
জানালেন, 'খুবই অসহ্য লাগছে, কারণ আমি আর আমার বোন দুজনেই ভোট দিতে গেলাম। আমাদের গল্ফ গার্ডেন এলাকার কলোনী রাজেন্দ্র প্রসাদ গার্লস স্কুলে ভোট দিতে গেলাম। সেখানেই আমরা দীর্ঘদিন ভোট দিয়েছি। কিন্তু এবার ভোট দিতে গিয়ে দেখি আমাদের ভোটার তালিকায় নাম নেই। আমার বোনের ভোটার আইকার্ড আছে। কিন্তু আমারটা হারিয়ে গেছে। কিন্তু আমার বোনের ভোটার কার্ড থাকতেও কি করে ওর নাম উড়ে গেল জানিনা। কিন্তু আমার বাবা-মার নাম আছে, আমার মা ২০১৫ সালে মারা গিয়েছেন এবং আমার বাবা ২০২০ সালে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় আছে। আমাদের বিল্ডিংয়ের অনেক সিনিয়রদের নাম আছে, যাঁরা এতটা অসুস্থ, তারা হুইলচেয়ারে গিয়েও ভোট দিতে পারবেন না। বা যাঁরা এই শহর ছেড়ে চলে গিয়েছে তাঁদেরও নাম আছে। কিন্তু আমাদের বিল্ডিংয়ের তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই নাম নেই। যাঁরা ভোট দিতে চান। আমি অফিসারদের কাছে প্রশ্ন করেছিলাম, তারা বলছিলেন ভোটার তালিকায় নাম থাকলে আমি ভোট দিতে পারবো না। এটা আমার মনে হয়, দেশের নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া আমার অধিকার, যেটা আমি আজ খোয়ালাম। পরবর্তীতে যোগাযোগ করব, যাতে আমার নামটা ভোটার তালিকায় নাম ওঠে। কিন্তু আমার নামটা বাদ গেল কি করে সেটাই বুঝতে পারছিনা, খুবই রাগ ধরছে এবং বিরক্ত লাগছে।'