OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

রাজ্য সরকারের বিনা অনুমতিতে কোনও পুরসভায় নয় করবৃদ্ধি, সাফ জানালেন মমতা

এবার থেকে রাজ্য সরকারের বিনা অনুমতিতে রাজ্যের কোনও পুরসভা বা পুরনিগমে যেমন নতুন কোনও কর বসানো যাবে না, তেমনি প্রচলিত কর বাড়ানোও যাবে না।
06:11 PM Jun 24, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোম বিকালে নবান্নে(Nabanna) রাজ্যের ২১২টি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ৭টি পুরনিগমের মেয়রদের নিয়ে রাজ্যের পুরসভাগুলির উন্নয়নমূলক পর্যালোচনা বৈঠক(Urban Development Review Meeting) সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর সেই বৈঠকেই তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে রাজ্য সরকারের বিনা অনুমতিতে রাজ্যের কোনও পুরসভা বা পুরনিগমে যেমন নতুন কোনও কর বসানো যাবে না, তেমনি প্রচলিত কর(Tax) বাড়ানোও যাবে না। আর এই প্রসঙ্গে তিনি তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হুট করে দেখলাম রবি ঘোষ কর বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন ভাই কে তুমি যে কর বাড়িয়ে দিলে। আমি কিন্তু এই জিনিসগুলো একদম টলারেট করবো না।’

রাজ্যের অনেক পুরসভাই(Municipalities) রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে একদিকে যেমন কর বসিয়ে দিচ্ছে, তেমনি ভিতর ভিতর লোকও নিয়ে নিচ্ছে। আবার নিজেদের খুশি মতন টেন্ডারও ডাকছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই ৩ ক্ষেত্রেই রাশ টেনে দিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘আমাদের জিজ্ঞাসা না করেই যখন তখন কর বাড়িয়ে দিচ্ছে পুরসভাগুলি। যখন তখন ক্যাজুয়াল লোক নিচ্ছে। ফাইন্যানসিয়াল অর্ডার ছাড়া এগুলো না করার কথা বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু, অনলাইন ছাড়া তা কী ভাবে দেওয়া হচ্ছে? আর কোনও টেন্ডার স্থানীয়ভাবে হবে না। তা কেন্দ্রীয়ভাবে হতে চলেছে। এই নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। যেখানে থাকবেন মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ভূমি দফতরের সচিব, অর্থ সচিব, সেচ দফতরের আধিকারিকস সিপি এবং এডিজি ল অ্যান্ড অর্ডার।’

ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, মুখ্যমন্ত্রী এদিন যা বলেছেন তা কার্যত হুঁশিয়ারি। এর পরেও পরিস্থিতির বদল না হলে অনেক রাজনৈতিক নেতা থেকে সরকারি আধিকারিকের কপালে অনেক দুঃখ লেখা থাকবে। হয়তো দেখা যাবে খুব শীঘ্রই খুব কম করেও ২০টি পুরসভা বা পুরনিগমে হয়তো চেয়ারম্যান বা মেয়র কিংবা প্রশাসকের পদে বদল ঘটে গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে রাজ্য সরকার প্রভূত পরিমাণে পুরসভাগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করলেও তা সঠিক ভাবে খরচ করা হয়নি। আর তার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে নির্বাচনের ইভিএমে। ক্ষুব্ধ জনতা ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে। যেহেতু ২ বছর বাদেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, এবার তাই পুরসভাগুলির রাশ অনেকটাই টেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Tags :
Mamata BanerjeeMunicipalities.NabannaTaxUrban Development Review Meeting
Next Article