অভিষেকের জন্মদিনে সকাল থেকেই যজ্ঞ নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে
নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) জন্মদিন। ৩৬ বছরে পা দিলেন তিনি। সেই কারণেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের জন্মদিনে নৈহাটিতে(Naihati) বড়মার মন্দিরে(Boro Maa Temple) সকাল সকালই শুরু হয়েছে যজ্ঞ। শুধু তাই নয়, রাজ্যজুড়ে একাধিক জায়গায় গতকাল রাত থেকেই লাগানো হয়েছে পোস্টার, হোর্ডিং। বিশেষত যে এলাকার সাংসদ তিনি, সেই ডায়মন্ডহারবারেও শুভেচ্ছা বার্তা ও পোস্টার পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে নেতাকে আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকার দলীয় কর্মীরা। গতকাল ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা পেরোতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর ঢল নেমেছে। কেউ তাঁদের প্রিয় নেতার দীর্ঘায়ু কামনা করছেন, তো কেউ আবার তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার আরও বর্ণময় হওয়ার প্রার্থনা করেছেন। কেউ বা শুধুই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দলের(TMC) তরফেও আজ নানা কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়ের জন্মদিনটি সেলিব্রেট করার তৎপরতা নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবারে কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা অভিষেকের জন্মদিন নানা অনুষ্ঠান-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করবেন। অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়ের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা যজ্ঞের আয়োজন হয়েছে মন্দিরে মন্দিরে। কোথাও আবার কেক কেটে প্রিয় নেতার জন্মদিন পালন করবে তৃণমূল। তবে সেই সব অনুষ্ঠানের মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে আয়োজিত হওয়া যজ্ঞ। সৌজন্যে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই যজ্ঞ শুধু অভিষেকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে নয়। বরঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সুস্থতা কামনা করে। অভিষেকের মঙ্গল কামনায় আয়োজিত বিশেষ পুজোয় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, নৈহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সনৎ দে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যসহ শাসকদলের নেতাকর্মীরা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থবাবু জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের অভিভাবক। বড়মার কাছে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেছি। বাংলার সবার জন্য প্রার্থনা করেছি। বড়মা যেন সবাইকে ভালো রাখেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক কুশল কামনা করলাম। তিনি যেন দীর্ঘায়ু লাভ করেন। এখানে আমি কোনও রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর দেব না। রাজনীতি নিয়ে কথাও বলব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়েছিলেন। তাঁর পায়ে সংক্রমণ হয়েছিল। বাংলার গরিব মানুষের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন দীর্ঘায়ু লাভ করেন, আমি বড়মার কাছে সেই প্রার্থনা করলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে কখনও এমনভাবে অসুস্থ হননি। অভিষেকের জন্মদিন উপলক্ষেও যজ্ঞ আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁর চোখের সমস্যা যাতে সেরে ওঠে, সেই প্রার্থনাও করেছি।’