For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘আমাদের কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা, আমাদের গর্ব’, ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর

কৃষক দিবসে সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমাদের কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা, আমাদের গর্ব - ট্যুইট মমতার।
12:36 PM Mar 14, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘আমাদের কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা  আমাদের গর্ব’  ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর
Courtesy - Twitter
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ১৪ মার্চ। ২০০৭ সালের এই দিনেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জমি আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রামের বুকে গুলি চালিয়ে ১৪জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে মেরেছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ‘চটি পরা পুলিশ’। সেই ঘটনার জেরে প্রতি বছর এই দিনটিকে 'নন্দীগ্রাম দিবস'(Nandigram Dibas) হিসাবে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। পরিবর্তনের পরে রাজ্যের ক্ষমতাসীন ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার এই দিনটিকে ‘কৃষক দিবস’(Krishak Dibas) হিসাবে পালন করা শুরু করে। এদিন সেই কৃষক দিবস উপলক্ষ্যে ট্যুইট(Tweet) করে রাজ্যের কৃষকদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Advertisement

এদিন ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘কৃষক দিবসে সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামে কৃষিজমি আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর এই দিনটিকে আমরা ‘কৃষক দিবস’ হিসেবে পালন করি। আমাদের কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা, আমাদের গর্ব। তাঁদের প্রতিটি প্রয়োজনে আমরা তাঁদের পাশে থাকি। ‘কৃষকবন্ধু (নতুন)’ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি, শস্য বিমার যাবতীয় খরচ বহন করা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর্থিক সহায়তা, কৃষকের অকাল মৃত্যুতে কৃষক পরিবারের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে কৃষক পেনশন প্রদান, ১৮৬টি ‘কিষাণ মান্ডি’ চালু করা থেকে শুরু করে বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্র প্রদান – সবকিছুই আমরা করেছি। আগামীদিনেও আমরা এভাবেই আমাদের কৃষকদের পাশে থাকবো।’

Advertisement

কৃষকের সাথে কৃষকের পাশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার(West Bengal State Government)। এদিন কৃষক দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের তরফেও বাংলার কৃষকদের জন্য কী কী করা হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘সারা বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়া অন্নদাতা কৃষকবন্ধুদের রাজ্যবাসীর পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। এ বছর খরিফ মরশুমে রেকর্ড ধান উৎপাদনের জন্য আপনাদের অকুণ্ঠ অভিনন্দন। দেশের প্রতি আপনাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। কৃষকদরদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কৃষির সার্বিক উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কৃষকবন্ধু(নতুন) প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দ্বিগুণ করে বছরে ১০০০০ টাকা দেওয়া হয়, ন্যূনতম পক্ষে দেওয়া হয় ৪০০০ টাকা। এই টাকা দুই কিস্তিতে, খরিফ আর রবি মরশুমে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৯ থেকে এই পর্যন্ত মোট ১৮১৯০ কোটি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে কৃষকবন্ধু(নতুন) প্রকল্পের মাধ্যমে। উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের মোট ১ কোটি ৩ লক্ষের বেশি নথিভুক্ত ভাগচাষি-সহ কৃষক। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সে কর্মরত যে কোনও কৃষক মৃত্যুতে এককালীন ২ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদানও করা হয়। অদ্যাবধি ১ লক্ষ ৮ হাজার-এর বেশি কৃষক পরিবারকে ২১৬৫ কোটি টাকা কৃষকবন্ধুর মৃত্যুজনিত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’

এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ‘কৃষকদের বিপর্যয়ে রক্ষাকবচ, বাংলা শস্য বিমা যোজনা, নেই কোনও খরচ। প্রিমিয়াম-এর পুরো খরচ রাজ্য সরকার দেয়, চাষিদের যে কোনও ফসলের বিমা বাবদ কিছুই দিতে হয় না। এখন থেকে আলু ও আখ চাষিদেরও কোনও প্রিমিয়াম দিতে হবে না, পুরো খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে। ২০১৯ থেকে ৯৮ লক্ষ কৃষক ২৮৪০ কোটির বেশি বাংলা শস্য বিমার ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৫.১৯ লক্ষের বেশি আধুনিক কৃষি যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে। সরকারি সাহায্যে ২২৭৮টি কৃষি যন্ত্রাদি ভাড়া কেন্দ্র এই রাজ্যের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। ফসলের অভাবী বিক্রি রোধে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল সংগ্রহের জন্য ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এই বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন। বিভিন্ন কৃষি ও কৃষকবান্ধব প্রকল্প ও পরিষেবা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সদাসর্বদা কৃষকের পাশে থাকছে। এগিয়ে বাংলা, এগিয়ে বাংলার কৃষি কৃষি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’

Advertisement
Tags :
Advertisement